নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
অধিবেশনের প্রথম দিনে বিধানসভায় উপস্থিত থাকলেন না তৃণমূল কংগ্রেসের বেসুরো বিধায়করা। বুধবার বিধানসভায় আসেননি হাওড়ার তিন তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বৈশালী ডালমিয়া ও হুগলির প্রবীর ঘোষাল। তৃণমূলের এই চার বিধায়ক বিধানসভায় হাজির না হওয়ায় ফের জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বেসুরো বিধায়কদের সঙ্গে দলের দূরত্ব যে বেড়েছে তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই। নির্বাচনের মুখে বিধানসভায় চার বিধায়কের এই গরহাজিরাই বিশেষ বার্তা আরও জেরালো করল।
সম্প্রতি হাওড়ার ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ননি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঝরে যাওয়া বটপাতার সঙ্গে রাজীবের তুলনা করেছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সরে যাওয়ার পরে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া৷ অনুন্নয়ন নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ দিলীপের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক তরজা
তাঁকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর আগে ক্রীড়া দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পথ থেকে সরে এসেছেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা। যদিও তিনি বিধায়ক পদ ছাড়েননি। এদিকে, দলে সমস্ত পদ ছেড়ে দিয়েছেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনিও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। এঁরা কেউই এদিন বিধানসভার অধিবেশনে হাজির হননি।
আরও পড়ুনঃ ‘প্রদীপ নেভার আগে দপ করে জ্বলে ওঠে’, তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের
এরই মধ্যে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এরপর আবারও জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। একদিন পরই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। শেষ পর্যন্ত কী হয় এরপরই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584