নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
বিদেশি গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত ৫০ বছর ধরে আমেরিকা ভারতের সমস্ত গোপন তথ্যে আড়ি পাতছে। এই ঘটনা বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারেনি নয়া দিল্লি।
সূত্রের খবর, আমেরিকার সিআইএ ও জার্মানির বিএনডি গোপনে একটি সংস্থার অংশীদার ছিল। এই সংস্থার মাধ্যমে সাংকেতিক কোড লেখা হয়ে থাকে। জানা গেছে, কোডিং-ডিকোডিং-এর মাধ্যমে এই সংস্থার মেশিনের সাহায্যে নিজেদের মধ্যে কথা বলতেন ভারতীয় সংস্থার কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ ছাত্রীর সাথে প্রেমে আবদ্ধ হওয়ার অভিযোগ, বহিস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিঙ্গল কমিটির সভাপতি
তবে ওয়াশিংটন পোস্ট পরিস্কার করে বলেনি ঠিক কোন সংস্থা এই কোম্পানির মেশিন ব্যবহার করত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১২০ দেশ ক্রিপ্টো এজি নামের ওই সংস্থার ক্লায়েন্ট ছিল।
সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত এই সংস্থা ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছিল সিআইয়ের মালিকাধীন। শুধু ভারত নয়, পাকিস্তানেও সাংকেতিক ভাষায় কী কথা হচ্ছে, তাতেও একইভাবে আড়ি পাতে সিআইএ।
আরও জানা গেছে, এর আগে হুইসলব্লোয়ার এডওয়ার্ড স্নোডেনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছিল ১৯৭০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সিআইএ-বিএনডি যৌথ অপারেশন চালিয়েছে ভারতের উপর। প্রাথমিকভাবে এই অপারেশনের নাম ছিল থেসোরাস। পরে নাম বদলে করা হয় রুবিকন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কোডিং-ডিকোডিং-এর মেশিন ব্যবহার করার জন্য অনেক টাকা খরচ করছিল ভারত, পাকিস্তান-সহ অন্যান্য দেশগুলি। কিন্তু আমেরিকা, জার্মানি-সহ আরও কিছু দেশ সেই তথ্যে আড়ি পাতছিল।
ভারতকে এই সব মেশিন ব্যবহার করতে দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে আমেরিকা, জার্মানি-সহ ওইসব দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। উল্লেখ্য, এই মেশিনগুলিতে মুহূর্তের মধ্যে এনক্রিপেটেড মেসেজ ডিএনক্রিপ্ট হয়ে যায়।
ফকল্যান্ড যুদ্ধ, বার্লিন বোম্বিং-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখান থেকে যোগাড় হওয়া তথ্য ব্যবহার করেছে সিআইএ— এমনই প্রকাশ করা হয়েছে ওই গণমাধ্যমের রিপোর্টে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584