গালওয়ান উপত্যকায় কালো ত্রিপলের ছাউনি, উপগ্রহ চিত্রে সেই ছবি

0
84

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

ভারত-চিন সীমান্ত বরাবর উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল নতুন ছবি। ২২ মে থেকে ২৬ জুনের সেই চিত্রে চিনের দ্বিচারিতা ধরা পড়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি কালো ত্রিপল।

picture | newsfront.co
চিনের নির্মাণের প্রমান। সংবাদ চিত্র

তাহলে এই ত্রিপল কী লালফৌজের উপস্থিতির প্রমাণ? এই ছবি ঘিরেই ফের চরমে উঠল উত্তেজনা। পাশাপাশি চোখে পড়ছে আরও কিছু সামরিক তৎপরতার চিহ্ন। এই চিত্র ঠিক সেই এলাকার অর্থাৎ পেট্রলিং পয়েন্ট ১৪-এর। গত ১৫ জুন এখানেই সংঘাতে জড়িয়েছিল দুই দেশের বাহিনী। সেই সংঘাতে শহীদ হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। চিনের তরফে সংখ্যা আরও বেশি।

আরও পড়ুনঃ দেশ বিরোধী পিটিআই! সম্পর্ক ছিন্নর পথে প্রসার ভারতী

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই দাবি। আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত আছে পেট্রলিং পয়েন্ট ১৪ ভারতীয় ভূখণ্ড। অর্থাৎ উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে লাল ফৌজের অনুপ্রবেশের ছবি। গত ২২ জুন লেফটান্যান্ট পদমর্যাদার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে।

pictures | newsfront.co
গালোয়ান নদীতীরের উপগ্রহ চিত্র। প্রকাশিত ২৬ জুন। সংবাদ চিত্র

সেই বৈঠকে দুটি দেশ সীমান্ত থেকে নিরাপদ দূরত্বে বাহিনী সরানোর পক্ষে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে অন্য ছবি ধরা পরছে। ২৫ ও ২৬ জুন প্রকাশিত এই চিত্রে এখনও বিতর্কিত এলাকায় চিন সেনার উপস্থিতি স্পষ্ট।

এদিকে, প্রতি মাসেই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এবারের অনুষ্ঠানে চিনকে বার্তা দিলেন তিনি। একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশ নীতি। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের হামলার পরে এদিন প্রথম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে যাদের নজর পড়েছে, তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে, মন কি বাত-এ আশ্বস্ত করলেন মোদী

ভারত যেমন বন্ধুত্ব করতে জানে, তেমন শত্রুদের জবাব দিতেও জানে। আমাদের সাহসী জওয়ানরা নিশ্চিত করেছে, মাতৃভূমিকে আক্রমণ করলে কেউ ছাড় পাবে না।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বছরের শুরু থেকেই একের পর এক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ।

প্রথমত করোনার সঙ্গে এতদিন লড়াই করতে হবে, এত বড় সমস্যা হবে তা ছ’মাস আগেও পর্যন্ত জানাই ছিল না। সেই লড়াইয়ের মধ্যে পূর্ব ভারতে আমফান ঘূর্ণিঝড়, পশ্চিম ভারতে নিসর্গ ঘূর্ণিঝড় এসেছে। এরই মধ্যে আবার পঙ্গপাল নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

তার সঙ্গে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আগ্রাসন। যে হারে দেশের মানুষ চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে, তার প্রভাব সে দেশের অর্থনীতিতেও পড়বে। এমন বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশকে নিরাপদ রেখেছেন যে সকল সাহসী জওয়ানরা তাঁদের কাছে আমরা মাথা নত করি। ওঁদের এই আত্মবলিদান সবসময় দেশের স্মরণে থাকবে।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here