পৌষমেলার মাঠ নিয়ে অগ্নিমিত্রার মন্তব্যের প্রতিবাদে কর্মসূচি

0
72

নিজস্ব সংবাদদাতা , কলকাতাঃ

এর আগেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বেলাগাম মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। তখন বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে একটি গণ ইমেইল কর্মসূচির আয়োজন করে ‘ঐক্য বাংলা’।

woman | newsfront.co
ফাইল চিত্র

এবারও বিজেপি নেত্রী তথা বিজেপি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের , “পৌষ মেলার মাঠে ‘সেক্স র‌্যাকেট’ ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চলে” মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আপামর বাঙালি সমাজ তার মন্তব্যের নিন্দা করেছেন।এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে বহুমুখী অনলাইন কর্মসূচির আয়োজন করল বাংলার প্রথম মুক্তপন্থী বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগঠন ‘ঐক্য বাংলা’।

আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে ডালহৌসি পাড়ার বহুতলে আগুন, ভস্মীভূত একাধিক দোকান-অফিস

ঐক্য বাংলা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা সুলগ্না দাশগুপ্ত জানান, “বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল পৌষ মেলার মাঠে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন, একজন বাঙালি হিসেবে নিশ্চয়ই তার কাছে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। তাই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে আমরা গণ ইমেইল কর্মসূচির মাধ্যমে জানতে চাই আদৌ এই ঘটনার কোন সত্যতা রয়েছে কি না, কিন্তু কোন সংবাদমাধ্যমই তার অভিযোগ সম্পর্কে কোন আলোকপাত করতে পারেননি। সুতরাং ধরেই নিতে হচ্ছে তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”

এখানেই না থেমে সুলগ্না দেবী আরও যোগ করেন, “পৌষ মেলার মাঠ সম্পর্কে এই ধরনের অভিযোগ আনার পরেও যেহেতু উনি উনার স্বপক্ষে কোন তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেননি, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী সম্পর্কে এইধরনের মন্তব্য করার কারণে আমরা তার মন্তব্যের বিষয়টি একটি গণ ইমেইল কর্মসূচির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি।”

আরও পড়ুনঃ বিমানবন্দরে কর্মী ছাঁটাই, প্রতিবাদে কন্ট্রাক্টর্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন

কিন্তু এত কিছুর পরেও যদি অগ্নিমিত্রা পাল তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা না চান তখন ‘ঐক্য বাংলা’ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ? এই প্রশ্ন শুনে মৃদু হেসে ঐক্য বাংলার অন্যতম সদস্য অভিজিৎ গুহ নিয়োগী বলেন, “আগে এই ধরনের মন্তব্য করেও রেহাই পাওয়া যেত। এখন অন্তত প্রতিবাদ তো হচ্ছে , সেটাই বা কম কি ?”
কার্যত একই সুরে ঐক্য বাংলা সংগঠনের অপর এক সদস্য সৌম্য চৌধুরী জানান,”প্রতিবাদ ও জনমত গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ । বাংলার ভূমিসন্তানদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকে সঠিক আকার দেওয়া আমাদের কর্তব্য।”

অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে অগ্নিমিত্রা পালের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন অভিনব অনলাইন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জনমত গঠন করছে ‘ঐক্য বাংলা’। এখন দেখার এটাই যে মাত্র ছ’মাস বয়সী বাংলার প্রথম মুক্তপন্থী বাংলা জাতীয়তাবাদী সংগঠনটি তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে সফল হয় কি না।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here