স্তোকবাক্যেই ভোট নিচ্ছে নেতা, ‘বেদে’রা সেই তিমিরেই

0
164

নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ

house | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

গণতন্ত্রের উৎসব, ভোট! তাতে ওদের কী? ওরা তো পায়না কিছুই, বদলে মেলে তিরস্কার, লাঞ্ছনা – অপমান। মাথার উপর নেই বসবাসের জন্য ছাদ, নেই শৌচাগার। স্থানীয় বাজারের শৌচাগার ব্যবহার করতে হয় ওদের। দিতে হয় টাকাও। আর কোন প্রলয় এলে কারুর দালানে ঠাঁই হয় ওদের। যদিও সেখানেও মেলে চরম অপমান। সরকার চাল ডাল দিলেও বেঁচে থাকার পূর্ণ স্বাধীনতাটা দেয়না রঙ – বেরঙের পতাকাধারী নেতারা।

house | newsfront.co
বেদেদের বর্তমান বাসস্থান। নিজস্ব চিত্র

ওদের পরিচয় ওরা বেদে। ভাঙা ঘরের ত্রিপলের ছাদ আর পাটকাঠির বেড়া দেওয়া ঘর দূর থেকে দেখলে মনে হবে এ যেন পুতুল খেলার ঘর। তবে পুতুল খেলার ঘরেই জনপ্রতিনিধিদের হাতের পুতুল হয়ে জীবনযাপন সন্তোষ বেদ, সুবুধ বেদ দের।

damage | newsfront.co

নিজস্ব চিত্রঅন্যের ঝাড় থেকে বাঁশ কিনে এনে তৈরি করে বাঁশের তৈরি প্রয়োজনীয় সামগ্রী। যদিও বাজার মন্দা, বিক্রিও কম। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গীর সাগর পাড়া রাজ্য সড়কের উপরই এমন ২৬ টি পরিবারের বাস। ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে সবই, তবে তা বছর ভর ভোট দেওয়ার জন্য। সাহায্যর জন্য নয়!

আরও পড়ুনঃ ধর্ষণে অভিযুক্তকে চাকরি বাঁচানোর পন্থা হিসাবে নির্যাতিতাকে বিয়ে করার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

toilet | newsfront.co
বন্ধ রাখা বাথরুম। নিজস্ব চিত্র

বছর ৬৫ র সন্তোষ বেদ বার্ধক্য ভাতা পায়নি আজও। একাধিকবার প্রমাণ পত্র জমা দিলেও মিলেছে শুধু স্তোকবাক্য।

family | newsfront.co
কাজে ব্যস্ত বেদেরা। নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ কেশিয়াড়িতে বাইকের ধাক্কায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

স্থানীয় একজন জানান, “আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দেখছি যে এরা অবহেলিত হচ্ছে। এই বাড়ির পাশেই বিশাল বিল্ডিং তৈরি হয়েছে, কর্মতীর্থ ভবন।যদিও সেটাও এখনও চালু করতে পারেনি। সরকারি ভাবে ভাড়া দিয়ে দিয়েছে কিন্তু সেটা আমরা ভাড়াটিয়ারা ব্যবহার করতে পারছিনা। কারণ,নিচের জায়গাটায় অসহায় পরিবার গুলো ঝড় বৃষ্টির সময় থাকেন।” তিনি আরও বলেন যে, “সরকারি ভাবে এদের স্থায়ী বসবাস স্থান করে দিলে অনেক ভালো হয় বলে আমি আশাবাদী,তবে এদের জন্য সরকারি সাহায্য আসলেও সেটা তাদের কাছে পর্যন্ত পৌঁছায় না।”

যদিও দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আনারুল ইসলাম বলেন যে,”একবার তাদের কে অন্য জায়গায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিলে তখন যেতে চাইনি। তার পরে আর সেই রকম কোনো ভাবে তাদের বিষয়ে ভাবা হয়নি। যদিও আমি যেটুকু সাহায্য আসে সরকারি ভাবে বেশি করে তাদের কে দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে আমি এই বিষয়ে পঞ্চায়েত অফিসে আলোচনা করব। তাদের জন্য খুব তাড়াতাড়ি একটা সুব্যবস্থা যাতে করতে পাড়ি। এমনকি বাথরুম টা যেনো তাড়াতাড়ি চালু করা হয় সেই বিষয়ে বিডিও কে আমি জানাব।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here