নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
দুর্গাপুজা শেষ না হতেই উত্তরবঙ্গের গ্রামেগঞ্জে শুরু হয়েছে অন্য আরেক দুর্গা পুজা। কোথাও বনদুর্গা কোথাও আবার মা ভান্ডানি রূপে পূজিত হচ্ছেন মা উমা। একদশীর সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গের রাজবংশী অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে শুরু হয়েছে মা ভান্ডানি রূপে দেবীর আরাধনা।
ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ারের পূর্ব ভোলারডাবড়ী, বাইরাগুড়ি-সহ ডুয়ার্সের বেশ কিছু এলাকায় ভান্ডানি পুজো হয়। শুধুমাত্র রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষই নয়, বর্তমানে ভান্ডানি পুজোকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠে গ্রাম বাংলার সর্বধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ।
আরও পড়ুনঃ দিলীপকে প্রণাম করে ‘বিরোধ মিটতে ১ মিনিট যথেষ্ট’ জানালেন সৌমিত্র
দেবী দুর্গার অপর রূপ দেবী ভান্ডানিকে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ন বনাঞ্চলের বন বস্তিবাসীরা পুজো করে “বনদুর্গা রূপে”। আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া পূর্ব ভোলার ডাবরি গ্রামে ভান্ডানি পুজা এবার ১১৫ বছরে পড়ল। গ্রামের বিএফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এই পুজো হচ্ছে। করোনার জন্য পুজো উপলক্ষে এবার মেলা বসেনি।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের মৃত্যু, শোকের ছায়া মেদিনীপুর শহরে
মানুষদের বিশ্বাস ‘বাপের বাড়ি আরও একদিন অন্য রূপে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন মা দুর্গা’। এদিন পুজা কমিটির বীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন , “এই পুজো আমাদের পূর্ব পুরুষেরা শুরু করেছিলেন। এই পুজোর সময় গ্রামের সব মেয়েরা ও ছেলেরা যে যেখানেই থাকুন তারা বাড়িতে ফেরেন। বিসর্জনের পর এখানে বোধন হয় ভান্ডানি দেবীর।”
অপর দিকে জলদাপাড়া বনাঞ্চল সংলগ্ন আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের শালকুমার-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানপাড়ায় ও শালকুমার-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাবাড়িয়ায় পৃথকভাবে ভান্ডানী দেবীর পুজো হয়। জানা গেছে, করোনার জেরে ভান্ডানীর মেলা এবার হচ্ছে না।‘ এই মেলা না হওয়ার সিদ্ধান্তে মন খারাপ এলাকাবাসীর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584