নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্কের ফলে গোয়ালিয়রে বন্ধ হল ‘গডসের জ্ঞানশালা’ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয় লাইব্রেরি। সেইসঙ্গে যাবতীয় জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।
অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার উদ্যোগে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিরে চালু হয়েছিল মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের নামাঙ্কিত লাইব্রেরি। তুমুল বিতর্কের জেরে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের তরফে তা বন্ধ করে দেওয়া হলো। সেইসঙ্গে যাবতীয় জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে বলে দাবি প্রশাসনের।
গডসে জ্ঞানশালা নামে এই লাইব্রেরি চালু হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। বহু অভিযোগ জমা পড়ে গোয়ালিয়রের পুলিশ সুপার অমিত সাঙ্ঘির কাছে।আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয় প্রশাসন। সাঙ্ঘি জানিয়েছেন, হিন্দু সহাসভার সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয় পুলিশের। তারপরেই লাইব্রেরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সমস্ত বইপত্র, ব্যানার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের হলফ নামায় কৃষক বিক্ষোভে খালিস্তানী জঙ্গি যোগের উল্লেখ
বিশ্ব হিন্দি দিবস উপলক্ষে রবিবার অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের জীবন ও আদর্শে যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে গোয়ালিয়রে একটি গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করে। দৌলতগঞ্জে হিন্দু মহাসভার কার্যালয়ে গডসে জ্ঞানশালার উদ্বোধনও করা হয়। সেখানে গডসে কীভাবে মহাত্মা গান্ধীর হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন, সেই তথ্য এবং তাঁর বক্তৃতাগুলিও নথি হিসেবে রয়েছে।
এর আগেও হিন্দু মহাসভা একাধিকবার তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ও মহিমা কীর্তন করেছে। হিন্দু মহাসভা গোয়ালিয়র প্রতি বছর গডসে জন্মদিবস পালন করে। উল্লেখ্য, গান্ধী হত্যার বিষয়ে নাথুরামের বক্তব্য ছিল গান্ধীজির জন্যই দেশভাগ হয়েছে, হিন্দু, শিখরা অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। শুধু হিন্দু মহাসভাই নয়, ভুপালের বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরও একাধিকবার গান্ধী হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত আখ্যা দিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584