সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এম এড কোর্সের রেগুলার ছাত্র তিনি। বিষয়টি নিয়ে চরম বিতর্ক দেখা দিয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে।
চলতি মাসের ২০ জুন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান।সর্বজিত ঘোষ নামে এই শিক্ষার্থীকে নিয়ে চরম বিতর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। সমাবর্তনে স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। কিন্তু তিনি আদতে পেশায় একজন শিক্ষক। সর্বজিত পূর্ব বর্ধমানের রায়নার বনতীর কাসেম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
একই ব্যক্তি একই সময়ে কিভাবে শিক্ষকতা করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলার এমএড কোর্স করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে,এই কোর্স করার জন্য তিনি বিদ্যালয় থেকে কোনরকম ছুটি নেননি। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে। উল্লেখ্য, পুরষ্কার প্রাপকদের যে তালিকা তৈরী হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ৮.১৮ পেয়ে স্বর্ণপদক প্রাপক হিসাবে নাম রয়েছে সর্বজিতের।
পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতি পাল এই বিষয়টি তাঁদের দেখার কথা নয় বলে জানান। তিনি বলেন, বিভাগীয় প্রধান সম্পূর্ণ বিষয়টি বলতে পারবেন।
সর্বজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই দুটি কাজের পাশাপাশি এই সময়কালের মধ্যেই ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলের অধীনে এলিমেণ্টারি এডুকেশনে ডিপ্লোমাও করেছেন।
২০১৬-২০১৮ বছরে সর্বজিত বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএড কোর্সে ভর্তি হন।তিনি ২০১৭ সালে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতায় যোগ দেন। তিনিই আবার ২০১৮ সালে এম এডের চতুর্থ সেমিষ্টারের পরীক্ষাও দেন। অথচ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিকায় রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ছাড়া এম এড কোর্সের কোনো প্রার্থীই অন্য কোথাও পুর্ণ সময় বা আংশিক সময়ের জন্য কাজ বা কোর্সে নিযুক্ত থাকতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্দেশিকার জেরে সেই সময় অনেক এমএড কোর্সের পড়ুয়া
যাঁরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগ্যতার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তাঁরা রেগুলার এই কোর্সটি ছেড়ে শিক্ষককতার চাকরিতে যোগদান করেছিলেন।
এখন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে,তাঁরা যদি এই নিয়ম পালন করে থাকেন তাহলে এই ক্ষেত্রে সর্বজিতকে এতটা ছাড় দেওয়া হল কেন?চাকরি করার পাশাপাশি তিনি কোর্সও করেছেন।ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের কোন তোয়াক্কাই যে তিনি করেননি তা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ রবি অস্তাচলে যেতেই দিনহাটায় বাজি ফাটিয়ে উল্লাস
বিভাগীয় প্রধান খগেন্দ্রনাথ চ্যাটার্জ্জী জানিয়েছেন, তিনি এব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584