দাম বৃদ্ধিতে লকডাউনে মদ বিক্রি কম! রাজ্যে মাসে ৬০০ কোটির রাজস্ব ঘাটতি

0
73

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

৪০ দিন বন্ধ থাকার পর যখন লকডাউনে মদের দোকান গুলো খোলা হয়েছিল তখন রাজস্ব অর্জনে রেকর্ড করেছিল রাজ্য। এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এবং রাজ্যের অন্য উপায়ে রাজস্ব আসা কমে যাওয়ায় মদের দাম বৃদ্ধি করেই কোষাগার পূরণ করতে দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন।

wine shop | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

কিন্তু তাতে প্রথমে মদ পিপাসুদের আপত্তি না থাকলে দীর্ঘদিন ধরে উপার্জন না থাকায় মদের পেছনে আর বেশি খরচ করতে নারাজ রাজ্যবাসী। তাই প্রথমে প্রচুর পরিমাণে মদ খেলেও দাম বৃদ্ধির কারণে ধীরে ধীরে মদ বিক্রি কমে গিয়েছে এমনটাই বলছে রাজ্য আবগারি দফতর। আর তার জেরেই রাজ্যে ৬০০ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে বর্তমান সময়ে।

লকডাউনে ছাড় পেয়ে মদের দোকান খোলার পরই রেকর্ড হয়েছিল বাংলায়। মাত্র ১০ ঘণ্টায় ১০০ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। আফগারি দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘লকডাউনে যখন মদের দোকান বন্ধ ছিল, তখন মদ নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলার ছোট মেয়ে জিন্দজি ম্যান্ডেলা

কিন্তু দোকান খুলে দেওয়ার পর যতটা ‘রেভিনিউ’ আদায় হবে ভাবা হয়েছিল, তার ধারেকাছেও পৌঁছানো যায়নি। গত দু’মাসে ৩৫০ কোটি টাকা করে এক্সাইজ আদায় হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের আগে সেই অঙ্কটা ছিল প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা করে।’ অর্থাৎ রাজ্যের কোষাগারে মদ থেকে আয় ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছে।

কিন্তু হঠাৎ এই রাজস্ব ঘাটতির কারণ কি? আবগারি দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, দামি বিদেশী মদের খদ্দেরের পাশাপাশি কম দামি বিদেশী মদ এবং দেশি মদের চাহিদা ছিল প্রচুর বিশুদ্ধ সাধারণ মানুষ এগুলো কিনতেন এবং এদের সংখ্যা বেশি থাকায় এদের থেকে রাজস্ব আয় বেশি হত।

কিন্তু লক ডাউন এ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উপার্জনের কোপ পড়ায় কম দামী বিদেশি মদ ও দেশি মদের বিক্রি মারাত্মক হারে কমে গিয়েছে। তাছাড়া লকডাউনের পর মদের দোকান খোলার সঙ্গেসঙ্গেই মদ পিছু ৩০ শতাংশ দাম বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুনঃ সংক্রমণ রুখতে ৪ জেলার নোডাল অফিসার বদল রাজ্যের, কলকাতার দায়িত্বে আলাপন

তার ফলে মদের বিক্রি কমে থাকতে পারে। অনেকেই মদ বাড়িতে না এনে অফিস বা ব্যবসা ফেরত বিভিন্ন বারে গিয়ে সময় কাটিয়ে মদ্যপান করে ফিরতেন। কিন্তু লকডাউনের জেরে অনেক বার খোলা না থাকায় এই বিষয়ে ঘাটতি হয়েছে বলে অনেকের।

এমনকি মদ সহজলভ্য করতে অনলাইন ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্য সরবরাহ করে এক সঙ্গে চুক্তি করেছিল রাজ্য আবগারি দফতর। কিন্তু তারপরেও মানুষের অনীহা কাটানো যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে মদের সুদিন ফেরা এক্ষুনি সম্ভব নয়, এমনটাই মত আবগারি দফতরের কর্তাদের।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here