“করোনা” আটকাতে রাজ্যের মানুষকে ৪ মানদন্ডে চিহ্নিত করে নজরদারি শুরু

0
114

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

বিশ্ব জুড়ে করোনা ত্রাস থাবা বসিয়েছে এ শহরেও। এখনও পর্যন্ত দেশে ২ জনের মৃত্যুর খবর থাকলেও এ রাজ্যে এখনও সেই খবর নেই। কিন্তু আগেভাগেই সংক্রমণ রুখতে তৎপর রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তাই বিজ্ঞানসম্মত ভাবে মানুষকে চার ভাগে চিহ্নিতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তারা।

জানা গিয়েছে, এখন থেকে রাজ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চারটি মানদণ্ডে সন্দেহজনক রোগীকে চিহ্নিত করা হবে।

government mercurial to protect coronavirus | newsfront.co
ছবিঃ প্রতীকী

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মূলত ৪ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে রোগীদের। এই পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর বা এসওপি। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর (ডিএইচএস) কথায়, এই বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, আশাকর্মী এবং যাঁরা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কাজ করেন, তাঁদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও শুরু হচ্ছে রবিবার থেকেই।

স্বাস্থ্য দফতরের নির্ধারিত এই চার ক্যাটাগরি কী রকম? ‘ক্যাটেগরি ‘এ’- যাঁদের শরীরে জ্বর-সর্দি-কাশির লক্ষণ রয়েছে এবং যাঁরা নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশে সফর করে দেশে ফিরেছেন, তাঁদের ‘এ’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এঁদেরকে ‘হাই রিক্স’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে এবং সরকারের তরফে আইসোলেশনে রেখে পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসা চালানো হবে।

আরও পড়ুনঃ করোনা বিষয়ক সচেতনতা মেদিনীপুরে

ক্যাটেগরি ‘বি’- যাদের সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ যাত্রা অর্থাৎ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশে যাওয়ার রেকর্ড নেই, কিন্তু সর্দি-কাশি-জ্বরের মতো লক্ষণ শরীরে দেখা দিয়েছে তাঁরা এই ক্যাটেগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মূলত ‘মডারেট রিস্ক’ হিসেবে এঁদের চিহ্নিত করা হবে। ৬০ বছরের বেশি বয়স হলে এবং হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা থাকলে তাঁদের এই ক্যাটেগরিতে রাখা হবে। নির্দিষ্ট ব্যক্তির পাশাপাশি পরিবারকেও আইসোলেশনে রেখে ১৪ দিন ধরে নজরদারি চালানো হবে।

ক্যাটেগরি ‘সি’- যাদের মাঝেমধ্যে বিদেশ যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে, এদিকে শরীরে কোনও লক্ষণই নেই তাঁরা এই ক্যাটেগরিভুক্ত হবেন। এদেরও ডেকে এনে ১৪ দিন আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে নজরদারিও চালানো হবে। এদের ‘লো রিস্ক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

ক্যাটেগরি ‘ডি’- যাদের বিদেশ যাওয়ার রেকর্ড নেই এবং শরীরে কোনও লক্ষণও নেই তাঁরা এই ক্যাটেগরির অন্তর্ভুক্ত হবেন।

মানদণ্ডের বিচারে এরা সবচেযে নিরাপদ। ‘সি’ ক্যাটেগরিতে যাওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা গেলেই এদেরকে ডেকে পাঠানো হবে।

এই চারটি মানদন্ডে বিচার করে মানুষকে ভাগ করে প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তা, হাসপাতালের সুপার এবং প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল এবং সুপারদের কাছে নির্দেশিকা পেঁছে দেওয়া হয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here