মোবাইল নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলোকে পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিকের নির্দেশ ক্রেতা-সুরক্ষা মন্ত্রীর

0
30

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

আমপান পরবর্তী সময়ে পুরসভার তীব্র সমালোচনা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূলের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তার রেশ কাটতে না-কাটতেই এবার পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য টেলিফোন নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিলেন তিনি।

minister | newsfront.co
ফাইল চিত্র

রাজ্যের ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ টেলিকম সংস্থাকে মঙ্গলবার নিজের দফতরে তলব করেছিলেন ক্রেতা-সুরক্ষামন্ত্রী। সেখানেই তিনি সমস্ত সমস্যা আলোচনার পাশাপাশি দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক করতে নির্দেশ দেন।

আমপানের পরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি মোবাইল ফোন পরিষেবা। বহু জায়গায় এখনও মোবাইলে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

এমনকী, ইন্টারনেট কানেকশন নিয়েও সমস্যা রয়েছে। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় রাজ্যের ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ টেলিকম সংস্থাকে দফতরে তলব করেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের দাবিতে বৈঠকে বিজেপি

প্রতিনিধিদের মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘কেন এতদিন পরও পরিষেবা স্বাভাবিক হল না?’ মোবাইল সংস্থাগুলির দাবি, গোটা পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য তাদের আরও ১৫ দিন সময় দেওয়া দরকার। তাদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরে এখনও সব জায়গায় তাদের পক্ষে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। আর সেই কারণে তাদের সুযোগ দেওয়া হোক।

যদিও মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই অবস্থায় মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও এখনই কোনও পদক্ষেপ নিতে চায় না ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। বরং তিনি জোর দিয়েছেন দ্রুত পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার ওপরে।

এদিন আলোচনায় উঠে আসে, একটি টেলিফোন সংস্থা আন্ডারগ্রাউন্ড কেবলের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়ার কারণে টেলিফোন পরিষেবা তুলনামূলক স্বাভাবিক হয়েছে।

সেই উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বাকি টেলিফোন সংস্থাগুলিকেও একইভাবে তারের ব্যবস্থা করে টেলিফোন পরিষেবা স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেন। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে টেলিফোন সংস্থাগুলি আশ্বাস দিয়েছে, তারা কলকাতা পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here