নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
একটানা ভারী বৃষ্টির ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যার ফলে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার কেশপুর ব্লকের বিডিও দীপক ঘোষ, কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শুভ্রা দে সেনগুপ্ত প্লাবিত এলাকা গুলি ঘুরে দেখেন এবং দুর্গত মানুষদের সাথে কথা বলেন।
সেই সঙ্গে বেশ কিছু মানুষের হাতে তারা ত্রিপল তুলে দেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শুভ্রা দে সেনগুপ্ত বলেন কেশপুর ব্লকের ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তার মধ্যে ব্লকের ১১, ১৩, ১৪ নম্বর অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। কিছু মানুষকে নিচু এলাকা থেকে সরিয়ে ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়খণ্ডের গালুডি বাঁধ থেকে সুবর্ণরেখা নদীতে ছাড়া হচ্ছে জল, আশংকা বন্যার
তবে হতাহতের কোন ঘটনা না ঘটলেও বৃহস্পতিবার সকালে একটি মাটির গোয়ালঘর ভেঙে মাটি চাপা পড়ে কেশপুর ব্লকের ধলহরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুলিয়া গ্রামে প্রায় ১০টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। যার ফলে এলাকার বাসিন্দারা একেবারেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। বেশকিছু মাটির বাড়ি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান বিডিও দীপক ঘোষ।
তিনি বলেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বৃষ্টি থামলে ধীরে ধীরে জল নেমে যাবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগের জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি কেশপুর ব্লকের প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। বৃষ্টির জলে নষ্ট হয়ে গেছে প্রচুর আমন ধানের চাষ এবং সবজির চাষ বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুনঃ দুর্গতদের পাশে স্বেচ্ছাসেবীরা
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের সাথে কথা বলেন। রমাপ্রসাদ গিরি বলেন চাষীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে প্রশাসনিক স্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি চাষীদের পাশে রয়েছেন বলে আশ্বাস দেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584