শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতাঃ
বিধানসভা নির্বাচনের আবহে শেষ মুহূর্তে নবান্নের তরফে অর্ডিন্যান্স জারি করা বিলও অনুমোদনে নারাজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। শেষ মুহূর্তে কোনোভাবেই যাতে রাজ্য প্রশাসন নিয়মবহির্ভূতভাবে কোনওরকম আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করতে পারে, তার জন্যই এই বিলে তিনি অনুমোদন দেননি বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
অর্ডিন্যান্স জারি করে দু’টি অর্থ বিল কার্যকর করার জন্য রাজ্যপালের অনুমোদন চেয়েছিল নবান্ন। সেই বিল দুটি অনুমোদন না দিয়ে রাজ্যপাল দাবি করেছেন, ‘বিধানসভার অধিবেশন চললে কোনও অর্ডিন্যান্স আনা যায় না। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে রয়েছে। সেই কারণেই বিল দু’টি ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুনঃ মমতার আমলে কোন কৃষক আন্দোলন দেখেছেন, বঞ্চনা দায় আপনাদেরই-প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা সৌগত
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, জিএসটি পরিষদে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। নিয়ম অনুযায়ী সব রাজ্যকে বিধানসভায় এই সংক্রান্ত আইন পাশ করাতে হবে। আর দ্বিতীয় বিলটি রাজ্যের ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত। বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, রাজ্য এখন মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ৩.৫% বাজার থেকে ঋণ নিতে পারে। করোনা মহামারির কারণে কেন্দ্র তা বাড়িয়ে ৫% করেছে। কিন্তু রাজ্য আইন না করলে বাজার থেকে বাড়তি ধার নিতে পারবে না।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ ভারতের আদলে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে কলকাতাতেই হেলথ হাব তৈরির পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কমিশনের
এখন বিধানসভা না চলায় এই দুটি বিল পাস করানোর জন্য অর্ডিন্যান্স জারি করতে চেয়েছিল অর্থ দফতর। নিয়ম অনুযায়ী অর্ডিন্যান্স জারি করা বিলে অত্যাধিক গুরুত্ব থাকায় তা অনুমোদন ছাড়া ফেরত পাঠাতে পারেন না রাজ্যপাল।
কিন্তু পাল্টা রাজ্যপাল যুক্তি দিয়েছেন বিধানসভা অধিবেশন যেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি রয়েছে, সেখানে বিলে অর্ডিন্যান্স জারি করে অনুমোদন দেওয়ার জন্য জোর করতে পারে না রাজ্য প্রশাসন। তাই সেই অর্ডিন্যান্স জারি করা অর্থ বিলে সম্মতি না দিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুনঃ আজ নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল ক্লাসে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দুও
প্রসঙ্গত, করণা মহামারীর কারণে বছরের প্রথমদিকে বিধানসভার অধিবেশন না বসলেও সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে একদিনের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন বসেছিল। তার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিধানসভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
রাজভবনের দাবি, অধ্যক্ষ যদি বিধানসভা মুলতুবি করার অনুমোদন চান এবং রাজ্যপাল যদি তাতে সায় দেন, তাহলে বিধানসভা মুলতুবি হতে পারে। তার পরে কোন জরুরী বিল পাস করানোর হলে সরকার অর্ডিন্যান্স আনতে পারে। না হলে বিধানসভার অধিবেশন ডেকে বিল দু’টি পাশ করাতে হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584