নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
সরকারি চাকরিতে বদলি খুবই স্বাভাবিক বিষয়। এ প্রসঙ্গে হরিয়ানার এক দৃষ্টিহীন আইএএস অফিসারের আবেদন ছিল তাঁকে যেন বদলি না করা হয়, কিন্তু সে আবেদন না মঞ্জুর করে প্রশাসন। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাঞ্জাব হরিয়ানা হাইকোর্টে যান কর্মী। হরিয়ানা সরকারের তরফে ওই প্রতিবন্ধী অফিসারকে অন্যত্র বদলি করার কথা জানানো হয়। তবে ওই সরকারি কর্মীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের (সিএটি) আদেশের আগে সরকারী আদেশ অকার্যকর করার জন্য ওই আইএএস অফিসারের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহ এবং বিচারপতি অশোক কুমার ভার্মার ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, ‘নিয়মের বাইরে কিছু হবে না। বদলি সেবার একটি অংশ হিসেবেই ধরা হয়। কোনও সরকারী কর্মচারীরই নিজের পছন্দের স্থানে বা পদে থাকার অধিকার নেই বা কোনও কর্মী তাঁর পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করতে পারেন না। সে ক্ষমতা নিয়োগকারীর উপর ন্যস্ত। এক্ষেত্রে সেই ক্ষমতা প্রশাসনের এবং প্রশাসন তা প্রয়োগ করবে ।”
আরও পড়ুনঃ কাজের সময় অপরিবর্তিত রেখে কর্মদিবস কমিয়ে আনার প্রস্তাব নয়া শ্রম আইনের খসড়ায়
অন্যদিকে, বিহার পুলিশের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে যে এবার থেকে প্রতিবাদের পথে হাঁটতে গেলে নাও মিলতে পারে সরকারি চাকরি। বিবৃতিতে একই সঙ্গে একথাও বলা হয়েছে যে, এই ধরণের কাজ কর্মের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরা যদি পথ না বদলান তবে সরকারের তরফে তাঁদের কোনও ঋণও দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুনঃ বাজেট বক্তৃতা সরকারের ভোট ব্যাংক রাজনীতিঃ কপিল সিব্বল
বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যাঁরা কোনও না কোনও সময় রাস্তা অবরোধ, কোনও কিছুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানোর মতো কাজে জড়িত ছিলেন যেগুলি আইনশৃঙ্খলা বিরোধী; তাঁরা চাকরি ও ঋণ সংক্রান্ত সবরকম সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে,যাঁরা এইধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা যেন যে কোনও রকম বিরূপ পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকেন।
কেউ যদি কোনও বিষয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে বিদ্রোহের পথে হাঁটেন তবে সরকার তাঁদের যেকোন সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584