নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
সরকারি স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশন বা অন্য যে কোন ব্যবসায় যুক্ত আছেন যেসব শিক্ষক তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে, এমনই নির্দেশ দিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ।
তামিলনাডুর থাঞ্জাভুর জেলার পঞ্চায়েত ইউনিয়ন মিডল স্কুলের মাধ্যমিক স্তরের এক শিক্ষিকা তাঁর ট্রান্সফার সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। ২০২১ সালের এক সরকারি নির্দেশের ভিত্তিতে ‘স্পাউস ক্যাটাগরি’-তে তিনি আবেদন জানান তাঁর স্বামীর কর্মস্থলের ৩০ কিমি এলাকার মধ্যে কোন স্কুলে তাঁর ট্রান্সফারের নির্দেশ দিক আদালত। সে মামলা খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি এসএম সুব্রমনিয়ম শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন সরকারি স্কুলে কর্মরত কোন শিক্ষক শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশন বা অন্য যেকোন আংশিক সময়ের ব্যবসায় যুক্ত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিক শিক্ষা দপ্তর।
তামিলনাডুর শিক্ষাসচিব-কে আদালত নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত একটি টিম গঠন করে রাজ্যের যেসব সরকারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশন বা অন্য কোন কাজে যুক্ত আছেন তাঁদের চিহ্নিত করার ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার। এছাড়াও শিক্ষা সচিবকে আদালতের নির্দেশ, “অবিলম্বে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করুন যেখানে অভিভাবকরা কোন শিক্ষক শিক্ষিকা সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে পারবেন।“
আরও পড়ুনঃ অসমে আগামী ৬ মাসের জন্য ফের বলবৎ বিতর্কিত আইন ‘আফস্পা’
মাদ্রাজ হাইকোর্ট এই মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, “রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির পঠনপাঠনের মান অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছে, প্রাইভেট স্কুলগুলির ধারে কাছেও তারা নেই।“ আদালত আরও বলে যে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুধুমাত্র সরকারি স্কুলগুলিই পড়াশোনার মান অনুযায়ী সেরা। এখানে বিশাল পরিমাণ সরকারি অর্থ খরচ করা হয় সরকারি স্কুলের উন্নয়নের জন্য কিন্তু তা সত্বেও প্রাইভেট স্কুলগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তারা দাঁড়াতে পারেনা, এই পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন দরকার।
আরও পড়ুনঃ “ভারত সরকার কি তাদের মৃতদেহ দেশে ফেরাতে চান?” মোদী সরকারকে প্রশ্ন ইউক্রেনের ভারতীয় পড়ুয়াদের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584