মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
ফের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেওচড়াই। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের চুলকানির বাজার এলাকায়। ওই ঘটনায় দুটি বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।ওই ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ।
পরে পুলিশের উপস্থিতিতে এলাকা শান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে ৷স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের চুলকানির বাজারে ফারুক মন্ডল এবং মজিবর রহমানের দুই গোষ্ঠীর জমায়েত হয়। এই জমায়েতের কিছুক্ষণের মধ্যেই হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি হয়৷ দুই পক্ষই বাঁশ, লাঠি নিয়ে একে অপরের দিকে এগিয়ে যায়।
এই সময় চুলকানির বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে থাকা দুটি বাইকে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ ৷ ওই ঘটনার পরে এলাকায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা স্বাভাবিক হয়। এলাকায় ওই বাইক ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগের তির উঠেছে ফারুক মন্ডলের দিকে। এবিষয়ে দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, ফারুক মন্ডলের নেতৃত্বে এলাকায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় আমাদের কর্মীদের ওপর।
আরও পড়ুনঃ কোভিড পরিস্থিতির করুণ দৃশ্য উঠে এল তপনের শ্যামা পুজোয়
বাইকে ভাঙচুর করা হয়। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে ফারুক মন্ডল। যদিও ওই বাইক ভাঙচুর করার অভিযোগ অস্বীকার করে দেওচড়াই অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ফারুক মন্ডল ৷ বলেন, “চুলকানির বাজারে কিছু বহিরাগত লোক এসে অশান্তি সৃষ্টি করছিল। সেই সময় প্রতিরোধ গড়ে তোলে সাধারণ মানুষ। পুলিশ দুটি বাইক উদ্ধার করেছে। বাইককে কেন্দ্র করে তদন্ত করলেই আসল অপরাধীদের খুঁজে পাওয়া যাবে।”
আরও পড়ুনঃ ফাঁসিদেওয়ার তিস্তা ক্যানেল থেকে উদ্ধার এক অজ্ঞাত পরিচিত ব্যক্তির মৃতদেহ
প্রসঙ্গত, প্রায় তিন মাস আগে কৃষ্ণপুর হাই স্কুলের মাঠে এক ফুটবল খেলার মাঠ উদ্বোধন করতে এসে দেওচড়াই অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি হিসেবে মজিবর রহমানের নাম ঘোষণা করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন আচমকা মন্ত্রী ফারুক মন্ডলকে বাদ দিয়ে মজিবরকে সভাপতি করাটা কোনভাবে মেনে নিতে পারেন নি ফারুক মন্ডল ।
আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়ির সেবক রোডের বহুতলে অগ্নিকাণ্ড , চাঞ্চল্য
তারপর থেকে এলাকায় ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েই চলছে। সম্প্রতি এলাকায় বেশ কয়েকটা বাড়ি ঘর ভাঙচুর হয়। পরে জেলা নেতৃত্বদের সাথে আলোচনা করে তা সমাধান করার কথা জানান। কিন্তু তারপরে অন্যান্য এলাকা শান্ত থাকলেও চুলকানির বাজারে গোষ্ঠী কোন্দল থামার নামই নেই।
সেখান প্রতিনিয়ত দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এলাকার মানুষ প্রায় অতিষ্ঠ।গতকাল রাতে ফের ওই চুলকানির বাজার এলাকা দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার জেরে ওই এলাকায় এখনও আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584