পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
প্রার্থী ঘোষণা হতেই বীরভূম জেলা কংগ্রেসের শুরু হলো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।বুধবার সিউড়িতে কংগ্রেসের মহকুমা সভাপতি অসীম মুখার্জি বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সমর্থনের কর্মী সভার ডাক দিয়েছিলেন।সেই কর্মী সভাতে আমন্ত্রণ পেলেন না বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী।মজার ব্যাপার হলো আমন্ত্রণ পেয়েও কর্মী সভাতে হাজির হলেন না বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইমাম হোসেন।যদিও মহকুমা সহ-সভাপতির দাবি প্রার্থীর নির্দেশেই এই কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল,তবে তিনি কেন উপস্থিত হননি সে বিষয়ে কোনো ধারণা তাঁদের নেই।লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই বীরভূম জেলা কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আশায় কার্যত অনেকখানি পিছিয়ে পড়ল কংগ্রেস প্রার্থী।গত মাসের মাঝের দিকে সদ্য প্রাক্তন কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।এরপর থেকেই কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেয়।বীরভূম জেলা কংগ্রেসের বহু কর্মী দাবি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর প্রদেশ কংগ্রেস সঞ্জয় অধিকারীকে বীরভূম জেলা সভাপতি করে কিন্তু তারা কোনমতেই বর্তমান জেলা সভাপতি কে মেনে নিতে পারছেন না। কারণ হিসাবে কর্মীদের দাবি এই সঞ্জয় অধিকারী ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী জয় মুখার্জী সমর্থন করেছিল,এদিন কংগ্রেসের মহকুমা সভাপতি অসীম মুখোপাধ্যায় বলেন,জেলা সভাপতি কে আমরা মানতে পারছি না,গত লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে সঞ্জয় অধিকারী প্রচার করেছিলেন সে বিষয় নিয়ে আমরা প্রদেশ কংগ্রেসের একাধিকবার অভিযোগ জানিয়ে ছিলাম,তা সত্ত্বেও উনাকে জেলা সভাপতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিষয়টা কর্মীরা ভালোভাবে নিচ্ছে না। বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারের যথেষ্ট প্রমাণ আমরা রাজ্য নেতৃত্ব এর হাতে তুলে দিয়েছিলাম, তাই বুধবার কর্মীদের ইচ্ছাকেই মান্যতা দিয়ে সভাপতি কে বাদ দিয়ে আমরা সভা করেছি।” যদিও বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় অধিকারী দাবি করেন,”বুধবার এরকম কোন সভার আয়োজন করা হয়নি,সবটাই মিথ্যা অপপ্রচার,আমি কতদিন ধরে কংগ্রেসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত তা জেলার মানুষ জানেন।”
অন্যদিকে লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেসের প্রার্থী ইমাম হোসেন বলেন মনোনয়নপত্র দাখিল করার জন্য বিভিন্ন কাজে আমি ব্যস্ত ছিলাম সেই জন্য আমি এই বৈঠকে হাজির হতে পারিনি।
আরও পড়ুনঃ মোদীকে দিল্লি সামলে বাংলা দেখার পরামর্শ মমতা
নির্বাচনের প্রাক্কালে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আশায় নির্বাচনী প্রচার ধাক্কা খেলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না।বিষয়টি নিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন,”এই তো হবারই ছিল এ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই,মা-মাটি-মানুষের প্রার্থী শতাব্দি রায় এই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হবে আমরা এটুকুই জানি।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584