মোহনা বিশ্বাস, ওয়েবডেস্কঃ
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ত্রস্ত পৃথিবী। ভারতেও জাঁকিয়ে বসেছে কোভিড-১৯। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই মুহূর্তে আহমেদাবাদের হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী রয়েছে, জানাল গুজরাট হাইকোর্ট। এই হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত ৩৫০ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিন হাসপাতালটিকে অন্ধকূপ বলে মন্তব্য করে আদালত জানায়, “যেমনটা আমরা আগে বলেছিলাম যে, পুর হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা হয়। এখন মনে হচ্ছে এটা অন্ধকূপের মতোই। এমনকী, অন্ধকূপের থেকেও খারাপ হতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গরীব ও অসহায় মানুষদের কোনও বিকল্প নেই”।
আদালত এও জানিয়েছে, “যদি আমরা সাপ্তাহিক মৃত্যু হিসেব করি, তাহলে গত আট সপ্তাহে পুর হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এটা খুবই অসহায়তা যে, বেশীরভাগ রোগীই চারদিনের বেশী বা কিছুটা চিকিৎসার পরেই মারা যাচ্ছেন”। সমগ্র দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১.৩ লক্ষেরও বেশি। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ জন।
আরও পড়ুনঃ পঙ্গপালের হানা, বিপন্ন দেশের খাদ্য সুরক্ষা
গুজরাটে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮২৯ জনের। এই পরিসংখ্যানে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর পরেই স্থান পেয়েছে গুজরাট। শুধুমাত্র আহমেদাবাদেই ১০ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। শনিবারই নতুন করে ২৭৭ জনের করোনা সংক্রমণ হয়েছে। সে রাজ্যে ৬৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
গুজরাট আদালতের রায়ে বলা হয়, “আমরা খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এখনও পর্যন্ত আহমেদাবাদ খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। সাধারণভাবে, গরীব মানুষরা পুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। তার অর্থ এই নয় যে, মানুষের জীবন সুরক্ষিত থাকবে না। মানব জীবন খুবই মূল্যবান এবং তা আহমেদাবাদের নাগরিক হাসপাতালের মতো জায়গায় নষ্ট হতে দেওয়া যায় না”।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584