নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
‘নাগরিকত্বের অধিকার ব্যক্তির এক গুরুত্বপূর্ণ অধিকার”, গুয়াহাটি হাইকোর্ট।কোন ব্যক্তি তাঁর বাবা মা, ঠাকুরদা ঠাকুমার সাথে সম্পর্ক প্রমাণ করতে পেরেছেন, ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে.. তাঁকে কখনোই বিদেশি বলা যাবে না শুধুমাত্র সমস্ত আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক প্রমাণ করতে পারেননি বলে, জানালো আদালত।
অসমের ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল’ হায়দার আলী নামে এক ব্যক্তিকে বিদেশি ঘোষণা করে। হায়দার তাঁর বাবা এবং ঠাকুরদার সাথে সম্পর্কের প্রমাণ দেন ট্রাইব্যুনালের কাছে, দেখা যায় তাঁরা ১৯৬৫ এবং ১৯৭০ সাল থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু বারপেটা-র ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী হায়দার ভোটার তালিকায় নাম থাকা তাঁর অন্যান্য আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্কের প্রমাণ দিতে পারেননি।
আরও পড়ুনঃ ‘দিদি……ওও দিদি’ সুরে ইভটিজিং-এর শিকার শহরের মেয়েরা! প্রধানমন্ত্রীর নামে দায়ের এফআইআর
সে কারণে হায়দার আলীকে বিদেশি ঘোষণা করে দেয় ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের এই রায়কে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করে হাইকোর্ট। আদালত দেখে হায়দর আলীর বাবা হামরুজ আলী ও তাঁর বাবা নাদু মিঞার নাম রয়েছে ভোটার তালিকায়, তাঁদের বাড়ির ঠিকানাও একই রয়েছে। শুধুমাত্র অন্য আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক প্রমাণ করতে পারেননি তিনি।
সমস্ত নথি থেকে হাইকোর্ট দেখে, সরকারি সময় সীমা অর্থাৎ ১৯৭০ সালের আগে থেকেই হায়দার আলীর পরিবার ভারতের বাসিন্দা ও ভোটার।বিচারপতি এন কোটিশ্বরের সিঙ্গল জাজ বেঞ্চ তাঁর পর্যবেক্ষণের পর হায়দার আলী কে ‘ভারতীয় নাগরিক’ ঘোষণা করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584