অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, স্পোর্টস ডেস্কঃ
প্রায় হারতে হারতে বাঁচার পর আর কী করেই বা খুশি হন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস? স্বাভাবিক ভাবেই এটিকে-মোহনবাগানের কোচ খুশি নন, তাঁর দলের খেলায়।
সোমবার তিলক ময়দানে শেষ মুহূর্তের গোলে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে ২-২ ড্রয়ের পরে তিনি সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল প্রেস মিটে বলেন, “আমি দলের খেলায় খুশি নই। এই ম্যাচে আমাদের তিন পয়েন্ট জিতে লিগের এক নম্বর জায়গাটা নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। পাঁচ মিনিট পর থেকেই মাঠে আমাদের খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি ছিল। এখন আমাদের মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে খেলার ভাবনা শুরু করতে হবে।“
সোমবার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই দশ জন হয়ে যায় হায়দ্রাবাদ এফসি। গোলমুখী ডেভিড উইলিয়ামসকে টেনে ফেলে দেওয়ার জন্য চিঙলেনসানা সিংকে লাল কার্ড দেখান রেফারি অজিত মিতেই। কিন্তু উল্টে এটিকে মোহনবাগানকেই চাপে ফেলে দেয় তারা।
দুই ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল ও তিরির রক্ষণের ভুল বোঝাবুঝিতে আট মিনিটের মাথাতেই গোল খায় এটিকে-মোহনবাগান। সুযোগসন্ধানী গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হায়দ্রাবাদের স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড আরিদানে সান্তানা। বিরতির পরে ৫৭ মিনিটে গোল শোধ করেন মনবীর সিং। কিন্তু ৭৫ মিনিটে পরিবর্ত ডাচ মিডফিল্ডার রোল্যান্ড আলবার্গের গোলে ফের পিছিয়ে পড়ে সবুজ-মেরুন বাহিনী। স্টপেজ টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে প্রীতম কোটালের গোলে হার বাঁচে তাদের।
আরও পড়ুনঃ হায়দ্রাবাদ ম্যাচ ড্র করে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যাওয়ার রাস্তা কঠিন হল টিম হাবাসের
এখন পরের ম্যাচে অন্তত ড্র করতেই হবে তাদের। না হলে এক নম্বর জায়গাটা পাওয়া নাও হতে পারে তাদের। শেষ ম্যাচে দুই নম্বরে থাকা মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে, যারা পরের ম্যাচে ওডিশা এফসি-কে হারালে শেষ ম্যাচে হাবাস-বাহিনীর হারা চলবে না।
এই প্রসঙ্গে স্প্যানিশ কোচ বলেন, “মুম্বই সিটিকে এখনও ওডিশার বিরুদ্ধে খেলতে হবে। এর মধ্যে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। চোট পেয়েছে যারা, তাদের সারিয়ে তুলতে হবে। সারা মরশুমে আমরা অসাধারণ খেলেছি। এবার সমস্যা মিটিয়ে শেষ ম্যাচে জিতে লিগশিল্ডটা জিততে হবে আমাদের।“
আরও পড়ুনঃ ডার্বি হার ভুলে নর্থ ইস্ট যুদ্ধে নামছে ইস্টবেঙ্গল
সবুজ-মেরুন শিবিরের প্রথম গোলদাতা মনবীর এদিন ম্যাচের পরে আইএসএল মিডিয়াকে বলেন, “হতাশ তো হয়েছিই আমরা। প্রথম গোলটা আমাদেরই ভুল হয়েছে। এই ভুল আমাদের শোধরাতে হবে। আশা করি পরের ম্যাচে তিন পয়েন্ট পাব আমরা।“
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে মনবীর বলেন, “নিজের খেলা নিয়ে খুশি আমি। ১০০ শতাংশ দিতে চাই প্রতি ম্যাচে। এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে ঠিকই করেছিলাম, সেটা এখন বুঝতে পারছি। হাবাস স্যরের স্টাইল আমার পক্ষে মানানসই। আশা করি আরও গোল করব।“ পাঁচ গোলে করে ভারতীয় গোলদাতাদের তালিকায় এখন সুনীল ছেত্রীর (৭) পরেই রয়েছেন মনবীর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584