পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
এবার ক্লাস চলাকালীন বীরভূমের হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজে অধ্যাপক হেনস্তা! ক্লাস থেকে রীতিমত জোর করে টেনে বের করে নিয়ে এসে এক অধ্যাপককে চূড়ান্ত হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে একদল পড়ুয়া ও তাদের সাথে থাকা বেশ কিছু পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন অধ্যাপকরা। বুধবার দিনভর অবস্থান ও কর্মবিরতিতে শামিল কলেজের পূর্ণ সময়ের সমস্ত অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার প্রায় পঞ্চাশ জন পড়ুয়াকে নিয়ে ক্লাস করাচ্ছিলেন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তপন গোস্বামী। সেই সময় জনা পঁচিশেক ছেলে আচমকা ক্লাসে ঢুকে জোর করে ওই অধ্যাপককে ক্লাস থেকে টেনে বের করে। তারপর অধ্যাপককে ঘিরে ধরে শুরু করে তুমুল বচসা। অধ্যাপক কলেজের বদনাম করছে, কলেজের অধ্যক্ষের কাজে বাধা সৃষ্টি করছে, কলেজের নামে কুৎসা ছড়াচ্ছে- এই সব নানা অজুহাত তুলে চূড়ান্ত হেনস্তা করতে থাকে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন অন্যান্য অধ্যাপকরাও। রীতিমত হূলুস্থুল বেধে যায় কলেজের অভ্যন্তরে। মারমুখী হয়ে ওঠে হেনস্তাকারী পড়ুয়ারা।
অধ্যাপকরা অবস্থানে বসে সকাল দশটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেন। হেনস্তার শিকার অধ্যাপক তপন গোস্বামী জানিয়েছেন,‘‘ক্লাস চলাকালীন আমাকে ক্লাস থেকে বের করে হেনস্তা করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা সরব হয়েছেন। হেনস্তাকারীদের মধ্যে বহিরাগত এবং কলেজে নিয়মিত ক্লাস করে না এমন পড়ুয়ারাই বেশি ছিল।’’
অধ্যাপকদের বড় অংশই জানিয়েছেন, কলেজে বর্তমানে নেই নির্বাচিত ছাত্র সংসদ। মুষ্টিমেয় পড়ুয়া ও বহিরাগত কিছু ছেলে ছড়ি ঘোরাচ্ছে ছাত্র সংসদের নামে। তারা অবশ্যই রয়েছে তৃণমূলের ছত্রছায়ায়। দিন কয়েক কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ৬টি মেধা তালিকা প্রকাশের পর অনলাইনে ভর্তি বন্ধ করে দিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ পাশ কোর্স বা অন্য অনার্সে ভর্তি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে থেকে অনার্সের ফাঁকা আসন পূরনের নোটিস জারি করেন।
আরও পড়ুনঃ স্কুলের উপরের হাইটেনশন তার সরানোর দাবিতে অবরোধ পড়ুয়াদের
এই পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তোলেন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তপন গোস্বামী। তিনি লিখিত ভাবে অ্যাডমিশন কমিটির কাছে তাঁর আপত্তির কথা জানান। তাতেই চক্ষুশূল হয়েছে কলেজের একাংশের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584