নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
পুলিশের উপর আস্থা হারালেও ভরসা রেখেছিলেন বিচারব্যবস্থার উপর। তাদের বিশ্বাস ছিল যে, সত্যের জয় একদিন হবেই। আর তাই হল। যোগী প্রশাসন থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, প্রত্যেকে যখন ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন, তখনও বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রেখেছিলেন হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবার।
শুক্রবার যখন চার্জশিট পেশ করে সিবিআই গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর কথা জানাল তখন বাকরুদ্ধ হয়ে যায় নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার বড় দাদা জানিয়েছেন, “টিভিতে খবরটা দেখে বাবা কেঁদে ফেলেন। আমরা চার্জশিট নিয়ে কোনও আশায় ছিলাম না। তাই আমরা তা নিয়ে কাউকে কিছু বলিনি। দেখতে চাইছিলাম, ওঁরা কী বলেন।”
আরও পড়ুনঃ মৃত সন্তানের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত বাবা-মায়ের, নবজীবন পাঁচ নাবালকের
নির্যাতিতার আরেক ভাই বলেছেন, “গ্রামবাসী এমনকী জেলাশাসকও আমাদের বিরুদ্ধে ছিলেন। তাঁরা আমাকেই বোনের খুনি হিসাবে অভিযুক্ত করেছিল। এই খুনকে পরিবারের সম্মান রক্ষায় খুন হিসাবে দেখিয়েছিল। কিন্তু আমাদের আশা ছিল। সত্যের সিঁড়িতে এটা আমাদের প্রথম ধাপ। এবার আদালতের উপর নির্ভর করছে ন্যায় বিচার। আমরা রায়ের অপেক্ষা করব। প্রমাণ করব, আমরাই সত্যি ছিলাম।”
আরও পড়ুনঃ গণধর্ষণের পরে হত্যা- হাথরাস কান্ডে চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের
যদিও উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার কথা রেখে পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, আগের থেকে জীবন অনেক বদলে গিয়েছে। গ্রামের সকলে তাঁদের থেকে দূরে চলে গিয়েছেন বদনাম হওয়ার ভয়ে। এখনও তাঁদের বাড়িরে বাইরে প্রহরারত রয়েছে সিআরপিএফ জওয়ানরা। কিন্তু তাদের সংখ্যাটাও আগের থেকে কম।”
প্রসঙ্গত, হাথরাস কাণ্ডে শুক্রবার চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। চার্জশিটে চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ১৯ বছরের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের চার্জ এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হাথরাস আদালত এবার এই চার্জশিটের ভিত্তিতে ট্রায়াল শুরু করবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৫৪, ৩৭৬ এ, ৩৭৬ ডি এবং ৩০২ ধারায় শ্লীলতাহানি, গণধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। আইপিসি এবং এসসি এসটি আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584