সালমা বেগম, নিউজফ্রন্টঃ-
শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে মূখমন্ত্রীর কাছে প্রাণ ভিক্ষার আর্তি জানালেন রাজ্যের এক প্রধান শিক্ষক। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার অন্তর্গত চেঙ্গাইল হাইমাদ্রাসা(HS)’র প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমরাত হোসেন ও তাঁর সহকারী শিক্ষকগণ মূখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জীবন রক্ষার করুণ আর্তি জানিয়েছেন।
ঘটনার প্রকাশ এই যে, হাইকোর্টের রায়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন অবৈধ ঘোষণা হওয়ার পর , সুপ্রিমকোর্টে কেস হয়।সেই কেস চলাকালীন কাঁথি রহমানিয়ার নেতৃত্বে বেশ কিছু মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে চোরাপথে নিয়ম ভঙ্গ করে ব্যাক ডেট দিয়ে বেশ কিছু অস্তিত্বহীন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের। যাদের রাজ্যের শিক্ষামহল ইতিমধ্যে ভুতুড়ে শিক্ষক বলে আক্ষায়িত করেছেন।কারণ সুপ্রিমকোর্টের আদেশে মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর তাদের নথিপত্র যাচাইয়ের জন্য ডাকলে তারা সাড়া দেয়নি। জানা গেছে শিক্ষক হিসেবে কাজ না করলেও তাদের ২বছরের বেতন দিতে গেলে রাজ্য সরকারের ৭০০কোটি টাকা জলে যেত কারণ ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের কখনো দেখেনি,তাদের নামও কখনো শোনেনি। তাদের শিক্ষকদের হাজিরা খাতা, ডিআই অফিসে ,মাদ্রাসা দপ্তরে-কোথাও নাম নেই। অর্থাৎ কাজ না করেই তাদের বেতন দিতে হতো। তাই
সরকার বেতন দিতে অস্বীকার করলে,সেই অশরীরী শিক্ষকেরা বেতন চেয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেন। সুপ্রিমকোর্ট গত শুনানির পর তাদের নথিপত্র ও শিক্ষক হিসেবে ২বছর কাজ করেছেন কি না-তা যাচাই করে দেখতে বলেছেন।
রাজ্যের বেশ কিছু মাদ্রাসার মতো চেঙ্গাইল হাই মাদ্রাসাতেও তাঁর নিজের মাদ্রাসার সেক্রেটারীর বিরুদ্ধেই সেরকমই পাঁচজন শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ তুলেছেন প্রধান শিক্ষক নিজেই। সুপ্রিমকোর্টের গত নির্দেশে তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ তাঁর মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সেক্রেটারী ও অবৈধ পথে নিযুক্ত পাঁচ শিক্ষক প্রথমে ‘ওয়ার্ক ডান সার্টিফিকেট’ দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে, যাতে করে তারা প্রমাণ করতে পারে যে তারা মাদ্রাসায় ২বছর আগে থেকেই শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করলে প্রথমে তারা প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হন।পরে সেই ভুতুড়ে শিক্ষক সহ এক গুন্ডাবাহিনী নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে আক্রমণ করেন ঐ মাদ্রাসার সেক্রেটারী তথা স্হানীয় তৃণমূল নেতা হাসিব খান(বাপি)। এমনকি অপহরণ করার চেষ্টা করা হয় প্রধান শিক্ষকের ছেলেকে। ক্রমাগত তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে তারা ডেবরা থানায় অভিযোগ জানান। এখন এই প্রাণ বাঁচাতে শিক্ষকেরা মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন। এমনিতেই ম্যানেজিং কমিটির হাতে নিয়োগ ক্ষমতা এলে কি হবে -এই নিয়ে প্রমাদ গুনছেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকেরা। তার উপর এই ঘটনা!
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584