এনআরএসের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা স্বাস্থ্য দফতরেরও! মৃত্যুর পর আর নয় করোনা টেস্ট

0
124

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

কোনও রোগী মারা গেলেও তার করোনা টেস্ট বাকি থাকলে তাঁর দেহ রেখে দিতে হত মর্গে। এদিকে মহামারীর সময়ে মৃত্যু বেশি হওয়ায় লাশের সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছিল। এই সমস্ত সমস্যা মেটানোর জন্য এবং মৃতের পরিবারের হেনস্থা আটকানোর জন্য কলকাতার এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, মৃতের লালারস আর পরীক্ষা করা হবে না। কিন্তু সোমবার সকালে সেই সিদ্ধান্তকেই রাজ্যের সব হাসপাতালের জন্য নির্দিষ্ট করে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

Health department | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

এদিন স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবার থেকে হাসপাতালে কোনও রোগী মারা গেলে তাঁর মৃত্যুর পর আর করোনা টেস্ট আর বাধ্যতামূলক থাকছে না। যদিও জানা গিয়েছে, নিজের সিদ্ধান্ত নিয়েও স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ মেনেই এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রবিবার থেকেই তা বলবৎ করে দিয়েছিল। বিষয়টি যুক্তিসঙ্গত মনে হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকদেরও। সেই কারণেই রাজ্যের বাকি হাসপাতাল গুলির জন্য এই নিয়ম চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ দূরত্ব না মানলেই বাজবে ঘন্টা ! খড়গপুর আইআইটির আবিষ্কৃত নয়া যন্ত্র

করোনার আবহে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ দিয়েছিল, সব হাসপাতালগুলিকেই যে হাসপাতালে কেউ ভর্তি হলেই তার করোনা টেস্ট করতে হবে। কারণ অনেক সময়েই দেখা গিয়েছে, রোগী হয়ত অন্য সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু সে বা তাঁর বাড়ির লোকেরা এটা জানে না, যে ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত কিনা। পরে অনেকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ছে। আর এর মধ্যে রোগী আচমকা মারা গেলে সেক্ষেত্রে ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত কী আক্রান্ত নন সেটা দেখার বা পরীক্ষা করার সময়টুকুও পাওয়া যেত না।

আরও পড়ুনঃ মেট্রো ডায়েরির ৫০০ কোটির শেয়ার ৮৫ কোটিতে বিক্রির অভিযোগ, নবান্নের ৪ আমলাকে নোটিশ ইডির

কিন্তু হাসপাতালে কেউ মারা গেলে তার দেহ আটকে রাখতে হত করোনা পরীক্ষার জন্য। এতে অনেক করোনা না থাকা মৃতদেহও আটকে থাকছিল হাসপাতালের মর্গে। আর তার ফলে ভোগান্তি বাড়ছিল মৃতের পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু এবার এই অবস্থান থেকেই সরে এল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

এখন থেকে নয়া নির্দেশ জারি হয়েছে, যে এবার থেকে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কেউ মারা গেলে বাধ্যতামূলক ভাবে তাঁর করোনা টেস্ট আর করা হবে না। কিন্তু তার মৃতদেহ দাহ করার সময় করোনা রোগীর মৃতদেহ যেভাবে দাহ করা হয়, সেই পদ্ধতি মেনে চলা হবে। এতে তিনি করোনা রোগী হন নাই হোন, বিপদ এড়ানো যাবে। এর ফলে মৃত রোগীর পরিবারের সদস্যদের ভোগান্তি কমবে অনেকটাই। আর হাসপাতাল থেকে ল্যাবগুলিরও চাপ অনেকটাই কমে যাবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here