বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ শয্যাকে আইসিইউ বেডে রূপান্তরিত করার আর্জি স্বাস্থ্য কমিশনের

0
48

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

হাইকোর্টের নির্দেশে প্রকাশ্যে বাজি বিক্রি এবং ফাটানো নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্ন জায়গাতেই লুকিয়ে চলছে বাজি বিক্রি। আর তার ফলেই বাজির ধোঁয়ায় অসুস্থতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে করোনা রোগীদের। তাই সরাসরি হাসপাতালের বেড বাড়ানোর প্রয়োজন না পড়লেও আইসিইউ বেডের প্রয়োজন বেশি হতে পারে। সেই কারণে এবার স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি পাঠিয়ে সাধারণ শয্যাকে আইসিইউ বেডে রূপান্তরিত করার আর্জি জানাল স্বাস্থ্য কমিশন।

corona patient | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

কমিশন সূত্রে খবর, আগামী কয়েক মাসের কথা ভেবে শঙ্কিত কমিশন। এই সময়টায় ফুসফুসের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া নিয়ে অনেকেই আইসিইউ আইটিইউ-তে থাকেন। কারণ অনেক রোগী হঠাৎ করে শুকনো এই আবহাওয়া সহ্য করতে পারেন না। করোনার চাপ এড়াতে কমিশন চাইছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি অন্তত অস্থায়ীভাবে কিছু আইসিইউ তৈরি করুক। প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতাল গুলিকে আইসিইউ ভেন্টিলেটর যন্ত্রপাতি কিনতে সাহায্য বা ধার দিক সরকার।

আরও পড়ুনঃ সোমেন-পুত্রের ট্যুইট ঘিরে জল্পনা, তিনিও কী তৃণমূলের পথে!

সাধারণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনার আক্রান্তদের ৮০% সংক্রমিতকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে। অসুস্থ হয়ে পড়া বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হচ্ছে। ওই অসুস্থদের ৬% কে আইসিইউ-তে রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ছে। কালীপুজোর পরে সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্য কমিশনের। সেই কারণে বেসরকারি হাসপাতালের অন্তত কিছু সাধারণ বেডকে আইসিইউ বেডে রূপান্তরিত করার আর্জি জানাল রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন।

কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” লেভেল ওয়ান, লেভেল টু হাসপাতালে বেডের অভাব নেই। বেডের অভাব হচ্ছে লেভেল থ্রি পর্যায়ে। যেখানে গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগী রয়েছেন। বেসরকারী হাসপাতালগুলির সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি অন্তত কিছু জেনারেল বেডকে আইসিইউতে রূপান্তরিত করুন।

আরও পড়ুনঃ আলকায়দার ‘হিট লিস্টে’ বাংলার রাজনীতিবিদরা,ভোটের আগে সতর্ক করলো গোয়েন্দারা

দুর্গাপুজো পার হয়েছে। সামনে আরও উৎসব রয়েছে। প্রয়োজনে ঋণ নিয়ে ভেন্টিলেটর কিনুন। আমাদের পক্ষ থেকে যা যা সাহায্য প্রয়োজন তা আমরা দেবো।” শহরের তুলনায় জেলায় আইসিইউ, ভেন্টিলেশন, সুপারস্পেশালিটি ব্যবস্থার হাসপাতাল কম।

বেডেরও অভাব রয়েছে সেখানে। জেলায় আচমকা গুরুতর কোভিড রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে কি করে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়েই চিন্তিত স্বাস্থ্য কমিশন। সেই কারণে স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি পাঠাল স্বাস্থ্য কমিশন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here