শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
মহামারীর পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিল স্বাস্থ্য দফতর। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই রোগীর অসুস্থতার পর নাইসেডে পাঠিয়ে নির্ধারণ করতে লেগে যাচ্ছে সময়, অবনতি হচ্ছে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির। তাই রোগ নির্ধারণে যাতে দেরি না হয়, তার জন্য স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সাহায্য নিয়ে বিশেষ কিট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য ভবন।
লালারস সংগ্রহের জন্য এই বিশেষ আধার বা কিটের নাম ‘ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া।’ এতে সন্দেহজনক করোনা রোগীর লালারসের নমুনা দ্রুত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। এবার সেই কিটটি-ই তৈরি করা হবে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। এর ফলে নোভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের রিপোর্টও তাড়াতাড়ি হাতে পাওয়া যাবে। যার ফলে সময় বাঁচবে আর দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুনঃ করোনা মোকাবিলায় দুঃস্থদের পাশে মহারাজ
এমনিতেই এই মারণ ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পরে প্রাথমিক ভাবে সুপ্ত থাকলেও পরে রোগীর দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটিয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিষয়টি চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় এবং তারপরে করোনা পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়।
তারও পরে পরীক্ষা হয়ে করোনা নিশ্চিত হয়ে বিশেষ চিকিৎসা শুরু হতে লেগে যায় অনেকটা সময়। সেজন্য যে কোনও সময় প্রয়োজন করোনা রোগীর দ্রুত রোগ নির্ধারণ। আর তার জন্য এই লালারস আধার বা ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়ার বিশেষ প্রয়োজন। আর এই কিট শুধু করোনা নয়, হদিশ দিতে পারে মানুষের শরীরে লুকিয়ে থাকা আরও অনেক প্রাণঘাতী ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়ার।
এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে ‘ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া’ এই কিট তৈরির যন্ত্র রয়েছে। আগে এখানে সেই কাজ হলেও মাঝে এই ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব না থাকায় তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে আবার নতুন করে তা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584