শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে বিভিন্ন ভাবে পরিষেবার বিঘ্ন ঘটছে। ক্যানসার রোগী কেমো পাচ্ছেন না, কিডনির অসুখের রোগী ডায়ালিসিস করাতে পারছেন না। সংক্রমণের ভয়ে যেন থমকে গিয়েছে হাসপাতালের স্বাভাবিক সমস্ত কর্মকান্ড। এদিকে করোনা মহামারী যে খুব তাড়াতাড়ি শেষ হওযার নয়, তা বেশ ভালই বুঝতে পারছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেই কারণেই রাজ্যের হাসপাতালগুলির সমস্ত পরিষেবা ধাপে ধাপে স্বাভাবিক করতে ১০ দফা দাওয়াই দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
জানা গিয়েছে, ১০টি উপায় মেনে পরিষেবা স্বাভাবিক করার বিষয়ে সোমবারই এই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের দুই স্বাস্থ্য অধিকর্তা। সেখানে বলা হয়েছে, জ্বরের রোগীদের শুরুতেই আলাদা করতে হবে এবং আবশ্যিক ভাবে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। টিকিট করা বা রোগ পরীক্ষার লাইনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
আরও পড়ুনঃ করোনা হাসপাতালে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কারন জানতে চায় হাইকোর্ট
ওয়ার্ডে বাড়ির লোকজনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত করতে হবে এবং মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। অনেক সময় গুরুতর অসুস্থ রোগীর আত্মীয়দের হাসপাতালেই থেকে যেতে হয়। তাই রোগীর বাড়ির লোকেদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। করোনা উপসর্গ থাকলে রোগীদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠাতে হবে। ইনডোরে দু’টি শয্যার মাঝখানে ন্যূনতম এক মিটার জায়গা রাখতে হবে। সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই এবং মাস্ক পরা আবশ্যিক করতে হবে। অস্ত্রোপচার হওয়ার আগে রোগীদের করোনা পরীক্ষা আবশ্যিক।
জরুরি ভিত্তিক অপারেশনের সময় সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিয়ে কাজে নামতে হবে। যে কোনও একজন সহকারী সুপারকে দিয়ে হাসপাতালের জীবাণুমুক্তিকরণে তদারকি করা সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে সমস্ত হাসপাতালে সুপারদের নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন রোগীকে ফেরানো যাবে না। করোনা পরিস্থিতিতেও যাতে অন্যান্য রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবা এবং ওষুধ পান, তা নিশ্চিত করতে হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584