শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
পুজোর পরে করোনার সুনামি আসতে চলেছে, এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ কিছুদিন আগেও চিঠি দিয়েছিল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম’।
কিন্তু তারপরেও পুজো শপিংয়ের বাড়বাড়ন্ত এবং পুজোর প্রস্তুতি দেখে চিকিৎসকরা নিশ্চিত, পুজোর পরে এই মহামারীর সুনামি কোনওমতেই আটকানো যাবে না। আর তার জন্যে এবার পুজোর পর আগামী ৬ মাসের জন্য পরিকল্পনা করে রাখতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তার জন্য সমস্ত হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মার্চ থেকে আগস্ট রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গত ১ মাসের ব্যবধানে করোনা ভাইরাসের পজিটিভ রেট ২.২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
আরও পড়ুনঃ নিজের প্যাঁচে এবার রাজ্যপাল নিজেই! ‘আরএসএস সুধীর’ চিঠি দেখিয়ে পালটা আক্রমণে তৃণমূল
তিনি বলেন, ‘চলতি বছরে আগস্টে পজিটিভ রেট ছিল ৬.৯ শতাংশ। এখন তা ৮.৪৮ শতাংশ।” স্বাস্থ্যসচিবের কথায়, করোনা সংক্রমণ রুখতে উৎসব থেকে মার্চ পর্যন্ত টানা ছয় মাস বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ আলাদা করে পরিকল্পনা না নিলে হাসপাতালে বেডের বন্দোবস্ত করা কঠিন হবে বলে মত স্বাস্থ্যকর্তাদের।
স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধিকর্তা ডা. প্রতীপকুমার কুণ্ডুর আশঙ্কা, “এমন অবস্থা হলে পুজোর সময় পজিটিভ হার ১০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। অসুস্থতার সংখ্যা আরও বাড়বে। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।” স্বাস্থ্য দপ্তর উত্তরের দার্জিলিং, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং কলকাতার বিভিন্ন অংশের বাসিন্দাদের থেকে যে চিত্র পেয়েছে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে কলকাতা মৃত্যুর শীর্ষে। মোট মৃতের সংখ্যা ১,৮৭৭।
আরও পড়ুনঃ পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা জানতে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট
আবার সংক্রমণের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। তবে পুজোর আগে সব জেলায় করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আর এই ঘটনায় চিন্তিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সেই কারণে আগামী ৬ মাসের পরিকল্পনা তারা ভেবে রাখছেন বলে জানিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584