নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
করোনা ভাইরাসের কবলে গোটা দেশ। ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনায় মৃত্যুহার জাতীয় গড়ের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে বেশি। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই কোমর্বিড ও বয়স্ক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্ষীয়ান করোনা রোগীদের সহয়াতায় কয়েক সপ্তাহ আগেই কল সেন্টারভিত্তিক পরামর্শদান পরিষেবা চালু করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। আর তাতেই সাফল্য মিলছে বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের।
২৪ ঘন্টাই চালু থাকছে এই কলসেন্টার পরিষেবা। বর্ষীয়ান ও কোমর্বিড হলে করোনা রোগীরা কীভাবে থাকবেন, কী কী বিধি মানা উচিত তা বলে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল। বর্তমানে তা কমলেও নির্মূল হয়নি। নির্দিষ্ট নম্বরে এখন ফোন করলে করোনা রোগীকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে এমনকী সেই প্রক্রিয়া কিভাবে সম্ভব তাও জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ‘২০০ টির বেশি আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি’, হলদিয়াতে মন্তব্য দিলীপের
এই পরিষেবা চালুর পর গত কয়েক সপ্তাহে কোমর্বিড সংক্রমিত রোগী মৃত্যুর হার কিছুটা কমেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের। ফোন মনিটারিং চলছে ২৪ ঘন্টা। ৫০ বছরের বেশি ও কোমর্বিড হলেই রোগীকে কী করণীয় ও কী করণীয় নয় সে সমন্ধে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সমস্যা থাকলে রোগীকে ডাক্তারের কাছেও পাঠানো হচ্ছে। প্রত্যেকদিন প্রায় ৫০০ করে ফোন আসছে।
রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকের কথায়, ‘নতুন এই উদ্যোগে লাভ হয়েছে। গত একমাস ধরে রাজ্যে সংক্রমণে দৈনিক মৃত্যুর হার ছিল ৬০। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে সেই সংখ্যায় লাগাম দেওয়া গিয়েছে’। রাজ্যের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলায় ৭ হাজার ১৭৭ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ শতাংশই কোমর্বিড। নিয়মিত এই পরিষেবা চালু থাকলে অনেক প্রাণ বেঁচে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584