নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরঃ
বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে হেমতাবাদ ব্লকের চৈনগর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বহু এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ফলে বিপাকে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। এতটাই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি যে, প্রবল জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সীমান্তের রাস্তায় নিয়ে যেতেই মৃত এক গৃহবধূকে বাধ্য হয়েই কবর দিতে হয়েছে ১০ কিলোমিটার দূরে বিন্দোল গ্রামে।
মৃত ওই গৃহবধূর বাড়ি হেমতাবাদ থানার চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকড়াহাট গ্রামে। মৃতার স্বামী নাজমুল হক জানিয়েছেন, ‘রাস্তা এবং একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলে আমার স্ত্রীকে এভাবে মরতে হত না।’ স্থানীয়দের বক্তব্য, আচমকা রাতবিরেতে কোনও মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য ৩৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছাতে হয়। গ্রামে আজ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্স ঢোকেনি।
আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জে নিঁখোজ কিশোরের দেহ উদ্ধার কুলিক নদীতে
অ্যাম্বুলেন্সে করে কোন রোগী আসলে গ্রামের দুই কিলোমিটার আগেই রোগীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে ভুটভুটি করে গ্রামে নিয়ে আসতে হয়। শুধু তাই নয়, গ্রামের রাস্তা যেমন নেই তেমনই, হেমতাবাদ ব্লকের চৈনগর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বহু এলাকার ফসলের জমি কার্যত জলের তলায় রয়েছে। কুলিক নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে একাধিক গ্রাম। ধানের পাশাপাশি হেমতাবাদ ব্লকের বিভিন্ন মরশুমি সবজিও জলে ভাসছে।
হেমতাবাদ ব্লকের জেলা পরিষদের সদস্যা পম্পা পাল বলেন, “হেমতাবাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে। ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন বিডিও। কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584