নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
উত্তরপ্রদেশের দুটি মসজিদকে আজানের সময়ে মাইক ব্যবহার করার অনুমতি দিতে অস্বীকার করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। বিচারপতি পঙ্কজ মিথাল এবং ভিপিন চন্দ্র দীক্ষিতের ডিভিশান বেঞ্চ বলেছে, “কোনও ধর্মই এটা শেখায় না যে প্রার্থনা করার সময়ে মাইক ব্যবহার করতে হবে বা বাজনা বাজাতে হবে। আর যদি সেরকম কোনও ধর্মীয় আচার থেকেই থাকে, তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যাতে অন্যদের তাতে বিরক্তির উদ্রেক না হয়।”
জৌনপুর জেলার বাদ্দোপুর গ্রামের দুটি মসজিদে আজানের সময়ে মাইক ব্যবহারের অনুমতি রিনিউ-এর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন মাইক ব্যবহারের অনুমতি রিনিউ করতে চায় নি। তার বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।
বিবিসি গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০ বছর পুরনো একটি মামলার রায়ে বলা হয়েছিল, মন্দির বা মসজিদ যে কোনও ধর্মস্থানেই মাইকে অখন্ড রামায়ন, কীর্তন বা আজান যদি শব্দদূষণ এবং লোকালয়ের বাসিন্দাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়, সেক্ষেত্রে মাইক বাজানো যাবে না।
আরও পড়ুনঃ সহস্রাধিক বসতি উচ্ছেদ বেঙ্গালুরুতে, বাসিন্দাদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর তকমা প্রশাসনের তরফে
শব্দ দূষণরোধ আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের অন্যান্য রায় তুলে ধরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, “সংবিধানের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির নিজের ধর্ম পালন করার অধিকার আছে ঠিকই কিন্তু সেই ধর্মাচরণের ফলে অন্য কারও অসুবিধা করার অধিকার কারও নেই। এই আদালত মনে করে অখন্ড রামায়ন, কীর্তন প্রভৃতির সময়ে মাইক ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন শব্দ দূষণ হয়, তেমনই বহু মানুষের অসুবিধাও হয়।”
জানা গেছে, শুধুমাত্র দুটি মসজিদে মাইক বাজানোর অনুমতির নবায়নের আর্জি মানেনি কোর্ট। কোর্টের যুক্তি, ওই এলাকাটি একটি মিশ্র এলাকা। তাই সেখানে মাইক বাজলে অনেকেরই অস্বস্তি হবে। এদিকে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক সমাবেশ বা যে কোনও অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় পুলিশের থেকে অনুমতি নিতে হয়। সেক্ষেত্রে মাইকের শব্দমাত্রাও বেঁধে দেওয়া থাকে।
কোর্ট জানিয়েছে, মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কাজের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চায় না কোর্ট।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584