শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
প্রায় তিন মাস কেটে গেলেও আমফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে এখন ক্ষতিপূরণ সম্পূর্ণভাবে পৌঁছয়নি, এমনই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তাই আমফানে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ বন্টন নিয়ে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আমফানের ক্ষতিপূরণ চেয়ে দায়ের হওয়া জোড়া জনস্বার্থ মামলার অনলাইন শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভাস্করণ নায়ার রাধাকৃষ্ণণ ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ১০ দিনের মধ্যে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরকে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ আগস্ট।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে আমফানের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সারা রাজ্য। ক্ষতি হয় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক ব্লকেও। ঘটনার পরপরই ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। এই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ফের নতুন করে ক্ষতিপূরণ বিলির প্রচেষ্টা শুরু করে রাজ্য সরকার। কিন্তু অভিযোগ, এখনও সরকারি সেই ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষানীতির খসড়া প্রস্তুতের সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকে কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নিঃ পার্থ
রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতে জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই। তবে তিনি জানান, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর এই বিষয়টি তদারকি করেছে। তাদেরকেও মামলায় পক্ষভুক্ত করা হোক বলে আবেদন জানান তিনি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীদের রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে এই মামলায় পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দেয় এবং রাজ্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনের কারনে বদল লোক আদালত বসার দিন
প্রসঙ্গত আমফানের ত্রাণ বিলির স্বচ্ছতা রাখতে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিটি করার আবেদন জানানো হয়েছিল মামলায় আইনজীবীদের পক্ষ থেকে। যে কমিটি খতিয়ে দেখবে, এ পর্যন্ত কত টাকা দেওয়া হয়েছে, কতজন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, কারা কারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। যারা ক্ষতিপূরণ পাননি তারা কেন বঞ্চিত হয়েছেন, এই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিস্তারিত বিষয়। এদিন অবশ্য রিপোর্ট চাওয়া হলেও এ কমিটির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি হাইকোর্ট।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584