নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কেন বারে বারে তাঁর দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ দিচ্ছে? কাদের বাঁচাতে ডিভিশন বেঞ্চ বারবার সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেঁধে দিচ্ছে? এ নিয়ে ক্ষুব্ধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবার দেশের প্রধান বিচারপতি ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হলেন। কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে যা কার্যত নজিরবিহীন।
কেন এই ক্ষোভ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের?
সম্প্রতি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত চারটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। কিন্তু এই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় এসএসসি-র তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব চায় বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। তাঁর দেওয়া নির্দেশের পাল্টা নির্দেশ দেয় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশে বলা হয় যে, সিলবন্ধ খামে এই হিসাব জমা দিতে হবে, খোলা যাবে না খাম।
এছাড়াও, ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন এক আইনজীবীর মন্তব্য ‘কথা হয়ে গিয়েছে, স্টে (স্থগিতাদেশ) হয়ে যাবে’ এই বক্তব্যের রেকর্ডিং শুনানির রেকর্ড থেকে বের করার নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, ‘‘বিচার করা হোক গোটা বিষয়টি।“ এক লিখিত প্রশাসনিক নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর কাছে মঙ্গলবার এক আইনজীবী আসেন এবং এই সব মামলা নিয়ে এক প্রভাবশালী রাজনীতিকের হয়ে কথা বলতে চান। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ‘‘তাঁকে এক কাপ কফি খাইয়ে বলেছি, আপনি আসুন। যদি প্রধান বিচারপতি সেই ব্যক্তির নাম জানতে চান, আমি বলব।“
নজিরবিহীন মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়েরঃ
এই প্রতিটি ঘটনা তুলে ধরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ, “কাদের সুবিধা করে দিতে আমার হাত বেঁধে দেওয়া হচ্ছে? বিষয়টি দেখার জন্য আমি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানাচ্ছি চাকরি নিয়ে কি ধরণের দুর্নীতি হয়েছে দেখুন।“ কলকাতা হাইকোর্ট এমন নজির প্রত্যক্ষ করেনি এর আগে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584