করোনায় মৃতদের নিয়ে শ্মশানে তোলাবাজির অভিযোগ, আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য

0
43

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

পরিবারের লোকজন করোনায় মৃতদের দেহ দেখতে না পাওয়ায় সঠিক নিয়ম মেনে, সম্মানের সঙ্গে সৎকার করা হচ্ছে না, এমন অভিযোগ বার বারই করছে মৃতদের পরিবার। প্যাকেজ সিস্টেমে দেহ পোড়ানোর পরেও শ্মশানকর্মীরা টাকা দাবি করছেন। সম্প্রতি হাওড়ায় শিবপুর শ্মশানে এক করোনা মৃতের মুখ দেখতে চাওয়ায় ৫১ হাজার টাকা দাবি করেন শ্মশানকর্মীরা।

Calcutta Highcourt | newsfront.co
ফাইল চিত্র

এই অভিযোগে এক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই এবার একের পর এক প্রশ্নের মুখে রাজ্য। পরিস্থিতি এমনই, মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্যের পাল্টা কোনও উত্তর দিতে পারেননি রাজ্যের সরকারি কৌসুলিরা।

সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, করোনার সুযোগে রাজ্যের শ্মশানগুলিতে টাকা তোলার সংগঠিত চক্র তৈরি হয়েছে। এ সব বন্ধ করতে রাজ্যের নজর দেওয়া উচিত। আগামী ২৫ অগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানিতে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কে প্রিয়জনের অস্থি নিতে অনীহা, বিপাকে পুরসভা

শুধু শিবপুর শ্মশানের ঘটনাই নয়, অস্থি নেওয়ার জন্য আলাদা টাকা দিতে হচ্ছে মৃতের পরিবারকে। নানা ধর্মের মতে সৎকারকার্যের জন্য আলাদা টাকা দাবি করা হচ্ছে। করোনার সুযোগে একেই হাসপাতালগুলির ওপরে লাগামছাড়া বিল তৈরির অভিযোগ এসেছে। তার পর শ্মশানেও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে টাকা তোলা সঠিক নয় বলেই মত হাইকোর্টের।

আরও পড়ুনঃ কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যৌথ সমন্বয়ে নাগরিকদের চিকিৎসার পরামর্শ দেবে আইএমএ

মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, রোগী মারা গেলেও তার সৎকার হচ্ছে কিনা জানতে পারছে না পরিবার। মৃতের শংসাপত্র পেতেও চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পরিবারের লোকজনকে। কোনও রাজনৈতিক নেতা করোনায় মারা গেলে তাঁর পরিবার–অনুগামীরা আলাদা সুবিধা পাচ্ছেন। ঠিক যেমন হয়েছে করোনায় মৃত পানিহাটির পুর প্রশাসক স্বপন ঘোষের শেষযাত্রার প্রসঙ্গে। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যাতে হয়রানির শিকার না হতে হয় তার জন্য রাজ্য সরকারকে সক্রিয় হতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here