হরষিত সিংহ,মালদহঃ
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রীর অর্থ পেয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখা শুরু করল হত দরিদ্র পরিবারের কন্যা সাগরিকা দাস।স্থানীয় একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠির মোহিলা পুতুল দাসের প্রচেষ্টায় কন্যাশ্রীর অর্থ তার ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা পরে।জানা গিয়েছে, দুঃস্থ ওই কন্যার বাবা পেশায় শ্রমিক।তারা তিন বোন বহু কষ্টের মধ্যে দিয়ে পড়াশোনা করে।প্রথমে মাধ্যমিক এবং পরে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছে সে।পিয়াসবাড়ী গৌড়ীয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ওই ছাত্রী।কি করে উচ্চশিক্ষা নেবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিল ওই ছাত্রী।এমন সময় রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে তার ব্যাংকের খাতায় জমা হয় ২৫ হাজার টাকা। সেই টাকা দিয়ে উচ্চশিক্ষার স্বপ্নের উড়ান ভরবে ওই যুবতী।প্রথম দিকে পারাবারিক কিছু সমস্যা থাকার কারণে কন্যাশ্রী ফর্মজমা করতে পারেনি ওই ছাত্রী।পরে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠির চেষ্টায় তার কন্যাশ্রীর অর্থের ব্যবস্থা করেন। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাবা স্বপন দাস বেসরকারি হোটেলে নৈশ প্রহরীর কাজ করেন।মা একজন বিড়ি শ্রমিক।
চাটাই ও মাটির দেওয়ালের উপর টালি দেওয়া ভাঙা বাড়ি।ওই ছাত্রীরা তিন বোন। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী,অর্থ পড়াশোনার বাধা।সেই বাধা কাটিয়ে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে সে।এরপর উচ্চশিক্ষা নিতে পারবে কিনা, কলেজের গন্ডিতে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছিল ওই ছাত্রী।উচ্চ শিক্ষার জন্য কিভাবে অর্থ যোগান হবে সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরে। অবশেষে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অর্থ তার ব্যাংকের খাতায় জমা পড়লে নতুন করে আশার আলো দেখেছে ওই ছাত্রী।পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে এলাকার লোকেরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।ইংরেজবাজার থানার খাসিমারি দিঘি পাড়ার বাসিন্দা।ওই ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের অর্থ পেয়ে আবার নতুন করে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানায় ছাত্রী সহ পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ ঘরে গরু ঢোকাকে কেন্দ্র করে বিবাদে আহত ছয়
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584