নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনির কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বালিজুড়ি এবং ডাঙ্গরপাড়া দুটি গ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত প্রাচীন এক বট বৃক্ষর তলায় রয়েছে “জঙ্গল-শা-বাবার পীর মাজার”। মাঘ মাসের ১লা তারিখে প্রতি বছর এই মাজারে পুরোহিত হিসাবে পীরসাহেব উপস্থিত থাকেন। এই বছরও পীরসাহেব উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের হিন্দু মহিলা মাটির ঘোড়া নিয়ে পুজো দেওয়ার জন্য ভিড় জমিয়েছেন। শুক্রবার দেখা গেল এক দিকে হিন্দু ও অপর দিকে মুসলিম মহিলাদের পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন। কোথাও যেন হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির মেলবন্ধনের বার্তা দেখা গেল। ওই মাজারের একদিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন নামাজ ও দোয়া প্রার্থনা করে,ঠিক তেমনি হিন্দুরাও মাটির ঘোড়া মূর্তির প্রতীকী এবং পুজোর ডালি সাজিয়ে পুজো দেন নিজেদের পরিবারের মঙ্গল কামনা করে।
আরও পড়ুনঃ খুঁটি পুজোর মাধ্যমে সরস্বতী পুজোর সূচনা পটাশপুরে
আনুমানিক প্রায় ১০০বছর ধরে এই রীতি হয়ে আসছে বলে গ্রামবাসীদের অনুমান। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় রায়, সনৎ কবি ও সেক সুরজ প্রত্যেকেই বলেন, “এই অনুষ্ঠান হল সম্প্রীতির অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে অংশগ্রহণ করে। এই অনুষ্ঠানে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ হাতে হাত মিলিয়ে মাজারে গিয়ে পুজো দিয়ে নিজেদের মঙ্গল কামনা করেন। যা শতাধিক বছরের ঐতিহ্য। এখানে কোন জাতি ভেদ নেই, নেই কোন হিংসা, রয়েছে শান্তি। তাই এই অনুষ্ঠানে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বসে আনন্দ উপভোগ করেন। যা সম্প্রীতির উৎসব নামে পরিচিত।” আগামী দিনেও এই সম্প্রীতি উৎসবে সকলেই এক সঙ্গে শামিল হবেন বলে তারা জানান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584