শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
একদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে কমে, তার জন্য গরম আসার অপেক্ষায় চাতক রাজ্যবাসী। কিন্তু প্রত্যেক বছরই গরমে দেখা যায় চূড়ান্ত রক্তসংকট। কিন্তু করোনা সংক্রমণের ভয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কলকাতা পুলিশ।
সেই আশঙ্কাতেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সপ্তাহে সপ্তাহে রক্তদান কর্মসূচি এবং অন্যান্য রক্তদান শিবিরও। ফলে, গরম পড়লেই চূড়ান্ত রক্তসংকটের আশঙ্কা করছেন ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মী সহ রোগীরাও।
আরও পড়ুনঃ করোনা নিয়ে গুজব ছড়ালে জেল-জরিমানা, অবস্থান স্পষ্ট পুলিশ কমিশনার
প্রসঙ্গত, যে কোনও দুর্ঘটনা হোক বা অস্ত্রোপচার পরবর্তী সময়ে প্রচুর পরিমাণ রক্ত সবসময়েই দরকার পড়ে। হাসপাতালে কিছু ব্যক্তিগত ডোনার ছাড়াও বিভিন্ন ক্লাব প্রত্যেক বছরই নিয়মিত আয়োজন করে রক্তদান শিবির।
এছাড়াও স্থানীয় ভাবেও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজনও করা হয়। গরমে রক্তের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। শীতকালের তুলনায় গরমে অসুস্থতা বেশি হয়। অনেক অসুস্থতাতেও শরীরে রক্তাল্পতা তৈকি হয়। সেই কারণে রক্তের চাহিদা বেড়ে যায়।
রক্ত সংরক্ষিত থাকলেও তার নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। ফলে নতুন করে রক্ত জোগানের প্রয়োজনীয়তা হয়ে পড়ে। আর প্রচণ্ড গরমে রক্তদান শিবির আয়োজন করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই শীত থেকে গরমের মধ্যেও রক্তদান শিবির আয়োজন করে নেওয়া হয়।
কিন্তু রক্তে সংক্রমণের আশঙ্কাও বেশি থাকে। আর বুধবার কলকাতায় প্রথম করোনা পজিটিভ যুবককে বেলেঘাটা আইডি তে চিহ্নিত করার পর কলকাতায় করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বেশি ছড়িয়েছে।
এটাও জানা গিয়েছে ওই যুবক লন্ডন থেকে ফিরে শপিং মল ক্লাব নবান্ন রাইটার সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন এবং একাধিক মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন তাই কার মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছে, তা বোঝা সম্ভব নয়।
সেই কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অনির্দিষ্টকালের জন্য রক্তদান শিবির বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করল কলকাতা পুলিশ। এর ফলে গরমের সময় রক্ত সংকট হলেও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিচারে এই নির্দেশ বদল সম্ভব নয় বলে লালবাজার সূত্রের খবর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584