সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে অশান্তির চেষ্টা- পাল্টা টুইট স্বরাষ্ট্র দফতরের

0
100

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

বৃহস্পতিবারের বিজেপির নবান্ন অভিযানের মিছিল একদিকে যেমন জলকামানে রং ব্যবহারের মত বলবিন্দর সিং নামে এক শিখ বিজেপি কর্মীর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার পর তার পাগড়ি পুলিশ খুলে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

kolkata police | newsfront.co
ছবিঃ বিভাস লোধ

এভাবে একজন শিখ বিজেপি কর্মীর পাগড়ি খুলে তাকে অপমান করা হয়েছে দাবি তুলে পরের দিন থেকেই রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এমনকি এই নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘গোলটুপি হলে এ ঘটনা হতো না।’

রাজনৈতিক প্রতিবাদের মধ্যে এভাবে বলবিন্দর সিংয়ের পাগড়ি খুলে দেওয়া নিয়ে নানারকম আপত্তিজনক মন্তব্য শুরু হওয়ায় তার প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন ক্রিকেটার হরভজন সিং। এমনকি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও। আর এর ফলে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন।

আরও পড়ুনঃ নাগপুরের তৈরি করা প্রেসক্রিপশনে চলছে তৃণমূল-বিজেপি, দাবি সেলিমের

তবে শেষ পর্যন্ত জবাব মিলল রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছ থেকেই। স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে এদিন ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, সাধারণ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িকতার রং দিয়ে একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।

এ রাজ্যে শিখ ভাইবোনেরা খুব শান্তিতেই বসবাস করেন। সেদিন বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক শিখের গ্রেফতারির ঘটনাকে এখন অন্য ভাবে দেখা হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল সংকীর্ণতা দেখিয়ে রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু রাজ্যবাসী মোটেই এসবে অভ্যস্ত নয়। তাই তাঁরা নিজেদের মতো করে শান্তি বজায় রাখবেন। শিখ ভাইবোনদের প্রতি আমাদের সরকারের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা, সম্মান আছে।’

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে ৪ টি মিছিল করেও নবান্নে পৌঁছতে পারেননি গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। হাওড়া ময়দানের মিছিলে বলবিন্দর সিং ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেন পুলিশকর্মীরা। ওই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনায় লাগাম দিতে নাকা চেকিং এগরায়

যদিও মিছিলে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা যায় কিনা সে বিষয়ে অবশ্য বিজেপি কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে হাওড়া সিটি পুলিশের দাবি, ওই আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরির জেলাশাসক। ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি জেলার বাইরে নিয়ে যাওয়ার আইন নেই। তাই সেই হিসাবে বলবিন্দর বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্রটি বাংলায় নিয়ে এসেছিলেন বলেই দাবি পুলিশের।

তবে ওই ঘটনার সময় বলবিন্দরের পাগড়ি খুলে যাওয়ায় গোটা বিষয়টি মোড় নেয় সম্পূর্ণ অন্যদিকে। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ বলেই হেনস্থা করা হয়েছে, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ হলে এরকম হত না বলে মন্তব্য করতে থাকেন একাধিক বিজেপি নেতা। সেই বিষয় ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নেমে রবিবার এই ট্যুইট স্বরাষ্ট্র দফতরের।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here