শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
রাজ্য প্রশাসনকে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও বিজেপি দলীয় নেতৃত্বের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে হেনস্থা হতে হচ্ছে বিজেপি কার্যকর্তাদের। এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা পশ্চিমবঙ্গের দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে হেনস্তার শিকার হওয়ায় মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুনঃ এলোমেলো করে দে মা, লুটে পুটে খাই! জলঙ্গীতে তৃণমূলকে তোপ সায়নদীপের
এমনকি পরবর্তী সময়ে ভিডিও কনফারেন্সে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল রাজ্য প্রশাসনকে। তার পরেও হেস্টিংসে নবাগতদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘিরে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় শনিবার বিজেপির কার্যালয়, হেস্টিংসের অফিসে।
শনিবার সকালে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী সাংসদ সুনীল মণ্ডলের গাড়িতে হামলার ঘটনা ছাড়াও অনুষ্ঠান শেষে শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতেও হামলার চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ। এসব খবর কানে যেতেই এবার রিপোর্ট তলব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আরও পড়ুনঃ গঙ্গারামপুরে তৃণমূল – নকশাল শ্রমিক সংগঠনের সংঘর্ষ, আহত দুই
প্রসঙ্গত, সপ্তাহ খানেক আগে মেদিনীপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সভায় যোগদানকারী নবাগতদের শনিবার হেস্টিংসে বিজেপি কার্যালয়ে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। সেইমতো সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সেখানে পৌঁছন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। অভিযোগ, সাংসদ পৌঁছতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ঝান্ডা দিয়ে গাড়ির বনেটে মারা হয় বলেও অভিযোগ। সুনীল মণ্ডলকে কোনওরকমে নিরাপদে বিজেপি কর্মীরা পার্টি অফিসের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের। এমনকি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর শুভেন্দু অধিকারী বেরোনোর সময় তাকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপি নেতাদের দাবি, এবারের ঘটনায়ও ইচ্ছাকৃতভাবে যথাযথ পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেনি রাজ্য প্রশাসন। পুলিশি নিরাপত্তা যথেষ্ট থাকলে হেস্টিংসে বিজেপির সদর কার্যালয়ের সামনে এই হামলা ঘটত না। পুলিশ দলদাসের মতো আচরণ করছে। যদিও এই ঘটনাকে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত রাগের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584