নিজস্ব সংবাদদাতা, দার্জিলিংঃ
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের চট্টগ্রাম পঞ্চায়েতের দুধখাওয়া গজ গ্রামের এক গৃহবধূর মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম আনোয়ারা বেগম। যদিও মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ যে, আড়াই মাস আগে সামাজিক মতে মুড়িখাওয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ তমীজ এর সঙ্গে আনোয়ারা বেগমের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুনঃ উত্তরপ্রদেশে ফের লাঞ্ছনার শিকার দলিত বৃদ্ধ, জোর করে মূত্র পান করানোর চেষ্টা
এবং বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নববধূ আনোয়ারা বেগমের উপর পণের দাবিতে শারীরিক-মানসিক অত্যাচার শুরু করে। এমনকি বিয়ের আগে সামাজিক মতে দুই পক্ষের মধ্যে চার লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুসারে চার লক্ষের বদলে মেয়ের বাড়ির লোকেরা ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দেয় ছেলের পরিবারকে।
কিন্তু বেশ কয়েক দিন কেটে যাওয়ার পর ছেলের বাড়ির লোকেরা বিভিন্ন রকম ভাবে পণের দাবিতে মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যাচার করা শুরু করে। সেই কারণে বহুবার বাপের বাড়ি যেতে বাধ্য হয় আনোয়ারা বেগম। এবং গোটা বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। ওই গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানাযায়, ছেলের দাবি ছিল মেয়ের বাবার যে চা বাগান রয়েছে সেই চা বাগানটি যৌতুক হিসাবে ছেলের নামে লিখে দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ এক যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার ময়ূরেশ্বরে
অবশেষে মেয়ের সুখের কথা ভেবে চা-বাগান লিখে দেওয়ার কথায় রাজি হয় বাবা। কিন্তু সোমবার রাতে ফের আনোয়ারা বেগমকে মারধর করে বলে অভিযোগ। অবশেষে তাকে মেরে রান্নাঘরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনের।
এমনকি মেয়ের মৃত্যুর সংবাদটাও দেয়নি ছেলের বাড়ির লোকজন। ওই গ্রামের লোকেরা মেয়ের বাবাকে ফোন করে মৃত্যুর খবর জানায়। এই খবর পেয়ে ছুটে যায় মেয়ের পরিবারের লোকেরা। এরপর খবর দেওয়া হয় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশকে। এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। অপরদিকে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584