সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
দীর্ঘ পাঁচমাস পর খুনের কিনারা করল পুলিশ।শ্বশুরবাড়িতে নিজের স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করে চম্পট দিয়েছিল স্বামী।ঘটনাটি ঘটেছে ফ্রেজারগঞ্জ কোষ্টাল থানার দক্ষিণ শিবপুর এলাকায়।বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে নিজের স্ত্রী বছর আঠাশের মৌমিতা পাত্রকে নৃশংসভাবে খুন করে চম্পট দেয় স্বামী সহদেব পাত্র।
তারপরেই মৌমিতার বাপের বাড়ির লোকজন ফ্রেজারগঞ্জ কোষ্টাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।বারবার চেষ্টা করেও সহদেবের কোনো হদিস মিলছিল না।প্রতিনিয়ত তার ফোনে আড়ালে নজর রাখছিল পুলিশ।
বছর আটেক আগে নামখানার ইশ্বরিপুর এলাকার গোপীনাথ পাত্রের ছেলে সহদেবের সঙ্গে ফ্রেজারগঞ্জের মানস দাসের মেয়ে মৌমিতার প্রেম করে বিয়ে হয়।নিজের বাড়িতে থাকার পর পারিবারিক অশান্তি হওয়ায় কয়েকবছর পর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ওঠেন সহদেব।পেশায় মৎস্যজীবী সহদেবের চার বছরের এক ছেলে ও ছয় বছরের একটি মেয়ে আছে।
আরও পড়ুনঃ পাঁচ মাস পর গৃহবধূ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
মৌমিতার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে সহদেবের একাধিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।তা নিয়ে বহুবার গ্রামে সালিশি করেও কোনো লাভ হয়নি।সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনে একদিন বাড়িতে কেউ না থাকায় ফাঁকা বাড়িতে মৌমিতার মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে খুন করে সহদেব।
তারপর খাটের নিচে দেহ লুকিয়ে রাতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ সহদেবের ফোন ট্যাপ করে জানতে পারে সে মেদিনীপুরের নন্দকুমার এলাকায় রয়েছে।
এরপরেই ঘটনাস্থলে হানা দেয় সুন্দরবন পুলিশ জেলার স্পেশাল অপরেশান গ্রুপ ও ওসি প্রবীর বাল।নন্দকুমার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।ধৃতকে ফ্রেজারগঞ্জ থানায় আনা হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584