নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনাঃ
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার বিথারী গ্রামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল। জনধন যোজনার পাঁচশো টাকা হাতে পেতে এরকম কান্ড বলে জানাযায়।
এও জানা গেছে তাদের বিয়ে হয়েছিল মাস ছয়েক আগে। অভিযোগ, পণের দাবিতে স্ত্রীর উপরে অভিযুক্ত অত্যাচার করত বিয়ের পর থেকেই।
হাবড়ার ফুলতলা গ্রামের বছর আঠেরোর দিশার সঙ্গে বিথারীর বাসিন্দা যুবক শ্রীকুমার ঘোষের মাস ছয়েক আগে বিয়ে হয় প্রণয় ঘটিত কারণেই।
দিশার পরিবার প্রথমে রাজি ছিল না এই বিয়েতে। তা সত্ত্বেও সেই সময় দিশার বাবা স্বপন দাস বিয়েতে সোনার গয়না ও নগদ অর্থ দিয়েছিলেন তার সাধ্যমত। আরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, বিয়ের পর থেকে বার বার, কখনও টাকা আবার কখনও সোনার গয়নার দাবিতে দিশার উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ শর্ট সার্কিটের কারণে পুড়ে ছাই দোকান
বেশ কয়েকবার ওই গৃহবধূ চলে যান তার বাপের বাড়ি হাবড়ার ফুলতলায়। তাকে টেলিফোন করে প্রতি বারই চাপ দেওয়া হত ফিরে আসার জন্য বলেও সূত্রের খবর।
বুধবার সকালে ওই গৃহবধূ বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়িতে যান। তার অ্যাকাউন্টে জনধন যোজনার পাঁচশো টাকা জমা পড়লে স্বামী শ্রীকুমার সেই টাকা দিশার কাছ থেকে চান বলে অভিযোগ।
জোর করে তার পাশবই কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। গৃহবধূ তার প্রতিবাদ করলে তাকে কেরোসিন তেল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584