নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীদের বাংলা সফর এখন লেগেই থাকে। সেরকমই, এক সফরে বোলপুরে এসে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেইসময় তাঁর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ছবিতে দেখা গিয়েছিল, তিনি একটি চেয়ারে বসে বিশ্বভারতীর অতিথি রেজিস্টারে কিছু লিখছেন। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চেয়ারে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? এর জন্য অমিত শাহ এবং বিশ্বভারতীর নিন্দায় সরব হয় সব মহল। মঙ্গলবার লোকসভাতেও সেই একই প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। তার পাল্টা জবাব দিলেন অমিত শাহ। তিনি জানান, কবিগুরুর চেয়ারে তিনি বসেননি।
লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবেদন করেন, তাঁর বক্তব্য যেন রেকর্ড রাখা হয়। তিনি বলেন, “বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য জানতে চেয়েছিলাম আমি কবিগুরুর চেয়ারে বসেছিলাম কিনা। চিঠির উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, এমন কিছুই হয়নি। জানালার পাশে ওই চেয়ারে যে কোনও অতিথি বসতে পারেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও জানালার পাশে ওই চেয়ারে বসেছিলেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন, তিনিও ওই চেয়ারে বসেছিলেন এবং নিজের মন্তব্যে লিখে এসেছিলেন।“
আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট
তারপরেই অধীরকে কটাক্ষ করে শাহের জবাব, সোশ্যাল মিডিয়ার উপর ভিত্তি করে সংসদে প্রশ্ন তোলা সংসদের অবমাননার সমান। তাঁর আরও দাবি, “এমন অনেক ছবি আছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর যিনি কবিগুরুর চেয়ারে বসেছিলেন, রাজীব গান্ধী কবিগুরুর সোফায় বসে চা খেয়েছিলেন। তাই অধীরবাবুর হয়তো বুঝতে ভুল হয়েছে।“
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের চাপে টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ, জানাল কর্তৃপক্ষ
শাহ একই সঙ্গে দাবি করেছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা মোটেই বলেননি, কবিগুরু জন্মস্থান শান্তিনিকেতনে। এদিন লোকসভায় নেহেরু এবং রাজীব গান্ধীর পুরনো ছবি দেখিয়ে নিজের দাবির স্বপক্ষে প্রমাণও পেশ করেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584