নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
দলের হয়ে লড়াই করতে গেলে সভাপতি হওয়া আবশ্যিক নয়, এমনটাই মনে করেন কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। ‘দ্য বুক ইন্ডিয়া টুমরো’ প্রদীপ ছিব্বার ও হর্ষ শাহ লিখিত বইতে এ কথাই জানিয়েছেন রাহুল। দাদা রাহুলের এই মনোভাবকে সমর্থন করেছেন তাঁর বোন তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
আগামী প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতৃত্বদের মতামত, দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ‘দ্য বুক ইন্ডিয়া টুমরো’ লেখা হয়েছে। সেখানেই রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করা হয়, দল চাইলে তিনি কি আবার সভাপতি পদে ফিরবেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কংগ্রেসের আদর্শে বিশ্বাস করি। তাই আমি দলের হয়ে লড়াই চালিয়ে যাব। এই লড়াই ও দলকে শক্তিশালী করার জন্য আমার সভাপতি হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
রাহুল জানান, ‘কংগ্রেসের দায়বদ্ধতার সংস্কৃতি রয়েছে। উচ্চস্তর থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত সেই ধারাবাহিকতা মেনেই কাজ চলে। ২০১৯ লোকসভায় দলের পরাজয়ের জন্য আমি দায়ী ছিলাম বলে মনে করি। তাই সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।‘
এই সিদ্ধান্ত কি তাঁর পরিবার সমর্থন করেছিল? এ প্রসঙ্গে ওয়ানাড়ের কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘ইস্তফা দেওয়ার আগে অবশ্যই আমি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এ বিষয়ে আমি আমার মা ও বোনের মতামতকে সম্মান করি।’
আরও পড়ুনঃ পিএম কেয়ার’র অর্থ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা ত্রাণ তহবিলে জমার প্রয়োজন নেইঃ সুপ্রিম কোর্ট
দলের অগ্রগতিতে তাঁর পরিবারের ভূমিকাকে কীভাবে দেখেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা? জবাবে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যদি আমরা নতুন নেতৃত্বকে উদবুদ্ধ করতে পারি তবেই আমরা সক্ষম বলে মনে করব।‘
তাঁর কথায়, ‘আমার দাদাই ইস্তফাপত্রে দলের পরাজয় স্বীকার করে সরে গিয়েছে। অন্য একটি জায়গায় সে জানিয়েছে যে, আমাদের পরিবার থেকে কারোর কংগ্রেস সভাপতি হওয়া উচিত নয়। এই সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি। দল তার নিজের ছন্দে এগোবে বলে বিশ্বাস রাখি’।
আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রপতির সম্মতি, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক পরিবর্তিত হয়ে এখন শিক্ষা মন্ত্রক
গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি হলে তিনি কি কাজ করার সুযোগ পাবেন? প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমাদের মত করে দল চালাতে গেলে তুলনা আসবে। নিজের মত করে তাঁকে দল পরিচালনা করতে হবে। গণতন্ত্র মেনে দল চালাতে হবে। এতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আমাদের পরিবার দলে স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এ জন্য আমার দাদাকেও সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে।’
প্রিয়াঙ্কার মতে, গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে এই পদে বসানো উচিত। রাহুলও তেমনটাই চান বলে জানিয়ে প্রিয়াঙ্কার মন্তব্য, দাদার সঙ্গে তিনি ‘সম্পূর্ণ সহমত’।
গত লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবির দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনার সময় প্রিয়াঙ্কাকেও ওই পদে বসানো উচিত নয় বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেসের অন্দরের টানাপড়েনে নতুন কাউকে সভাপতি নির্বাচিত করা যায়নি। অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে শেষ পর্যন্ত সোনিয়া গান্ধীকেই ফের সভাপতির দায়িত্ব নিতে রাজি করান কংগ্রেস নেতারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584