বিতর্কিত পোস্টের পর ফেসবুক থেকে ‘বিদায়’ নেওয়ার কথা জানালেন তৃণমূল বিধায়ক

0
197

মোহনা বিশ্বাস, কলকাতাঃ

সম্প্রতি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, মানুষের দুঃখকষ্ট দেখে তিনি হাঁপিয়ে যাচ্ছেন। দুর্ভাগ্যের ভাগীদার হয়ে তাঁর হৃদয় কেঁদে উঠছে। ওই ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি। যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমন ভাবে কিছু জানতাম না, খানিক সুখে ছিলাম।”

Manoranjan Bapari | newsfront.co
ছবি: ফেসবুক

শুক্রবার বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে আলোড়িত হয় রাজ্য রাজনীতি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার ফের ফেসবুক পোস্ট করলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। এই পোস্টে ক্ষোভ এবং অভিমান উগরে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘কিছু মানুষ খুব ধুর্ত আর কৌশলি হয়ে উঠেছে। সহজ সরল ভাষা ভাবনাকে বাঁকিয়ে দুমড়ে মুচড়ে একটা অন্য রূপ দিয়ে মা মাটি মানুষের জনপ্রিয় সরকারকে বদনাম করতে চায়, বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলে বিশেষ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে চায়।’

Manoranjan Bapari fb post | newsfront.co
মনোরঞ্জন ব্যাপারী’র ফেসবুক পোস্ট

শনিবারের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আপনারা দেখেছেন নিশ্চয় আমার মুখে আটকে যাওয়া একটা শব্দ “অমানবিকতা” নিয়ে কি ব‍্যাঙ্গ বিদ্রুপের ঝড় তুলেছিল। আবার তেমন একটা ঝড় তোলার চেষ্টা চলছে আমার একটা মানবিক আর্তি মাখানো ফেসবুক পোস্ট নিয়ে। ওরা থামবে না। কিছু না কিছু করতেই থাকবে। তাই মনে হচ্ছে আমার থেমে যাওয়া উচিৎ।’ বিধায়ক মনে করেন সমালোচকরা এখনই থামবেন না। তাই আপাতত ফেসবুকে তিনিই থামছেন বলে জানিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

শনিবারের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যারা এই বিপুল জনাদেশ নিয়ে তৃতীয় বার ক্ষমতায় ফিরে আসা মা মাটি মানুষের দল তৃনমূল দলটাকে যেমন সহ‍্য করতে পারছে না, আমাকেও সহ‍্য করতে চাইছে না ছত্রিশ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকা অঞ্চল থেকে নয় হাজার ভোটে আমার জিতে যাওয়া। তাই সময় সুযোগ পেলেই আমাকে নানা কায়দায় বিপাকে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

আরও পড়ুনঃ মমতাকে ‘নৈতিকতার’ চাপে ফেলতেই কি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ!

মাত্র একদিন আগে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সেই ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “মনে হচ্ছে রাজনীতিতে এসে আমি বোধহয় ঠিক করিনি। যখন দূরে ছিলাম, যখন তেমন ভাবে কিছু জানতাম না, খানিক সুখে ছিলাম।” তাঁর কথায়, ‘মানুষ বলছে , দাদা আপনি পারবেন, একটা কাজের ব্যবস্থা করে দিন। সাধারণ মানুষের সমস্যা শুনছি মন দিয়ে। চেষ্টা করছি সমাধান করার। কিন্তু সমস্যা এতই যে সব সমাধানের সাধ্য পুরোপুরি আমার হাতে নেই।’

আরও পড়ুনঃ ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে গ্রেফতার দেবাঞ্জনের সহযোগী ইন্দ্রজিৎ সাউ

উল্লেখ্য, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বলাগড় বিধানসভায় বেশ কয়েক হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। ২০২১ সালে সেই বলাগড় বিধানসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হিসাবে মনোরঞ্জন ব্যাপারির নাম ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থী হওয়ার পরই তিনি মমতাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে দলিত সমাজের হয়ে আওয়াজ তোলার জন্য যুব সমাজের মধ্যে থেকে নেতা তৈরির কাজও করতে চান বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

আরও বলছিলেন, “বিধানসভার বাইরে এবং ভিতরে সেই সব বঞ্চিত শ্রেণির জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। কোনও আপস করব না।” তৃণমূলের টিকিটে আজ তিনি বলাগড়ের বিধায়ক। কথার খেলাপ তিনি করেননি। মানুষের দুঃখে সবসময় পাশে থেকেছেন তিনি। বর্তমানে বলাগড়ে বাড়ি ভাড়া করে থাকছেন, জনসেবায় কিনেছেন টোটো।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here