আক্রান্ত হলে পুরো এলাকা কনটেনমেন্ট হবে না, সিদ্ধান্ত পুরসভার

0
38

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

দেশজুড়ে করােনার সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের করােনা পরিস্থিতিও যথেষ্ট সঙ্কটজনক। তবে এই মুহূর্তে আশার কথা, করােনা ক্রমাগত বেড়ে চললেও সুস্থ হচ্ছেন প্রচুর মানুষ। জানা যাচ্ছে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার অনুপাতে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা বেশি পশ্চিমবঙ্গে। আগে করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলো রেড, অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনে ভাগ করে দেওয়া হয়।

kolkata | newsfront.co
প্রতীকী চিত্র

সম্প্রতি করােনা আক্রান্ত হলে কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবেও এলাকা ভাগ করে দেওয়ার চল শুরু হয়। দেখা যাচ্ছিল, বেশ কিছুদিন ধরেই কলকাতা পুর এলাকায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, কলকাতার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৩ টি ওয়ার্ডই কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে পড়ে গেছে, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুনঃ বিদেশে আটক ভারতীয়দের ফেরাতে দ্বিতীয় দফার বুকিং শুরু

তবে এক্ষেত্রে কনটেইনমেন্ট জোন বেড়ে যাওয়ার দেখা যাচ্ছে, এলাকা আটকে যাওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্যান্যদের স্বাভাবিক জীবন বজায় রাখতে যথেষ্ট | অসুবিধা হচ্ছে। এবার তাই কনটেইনমেন্ট জোনের বিধি-নিষেধ কিছুটা আলগা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।

এই প্রসঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠক হয় পুরাে কমিশনার ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে। এই বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উঠে এসেছে নতুন নিয়ম। এবার থেকে কেউ করােনা আক্রান্ত হলে তাঁর বাড়ি এবং সংলগ্ন প্যাসেজটি সম্পূর্ণ আটকে দেওয়া হবে।অন্যান্যরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘গােটা এলাকা কন্টেইনমেন্ট হলে সাধারণ মানুষের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। এব্যাপারে আমি কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার সঙ্গেও কথা বলেছি। এরপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সম্প্রতি ঠিক হয়েছে, কলকাতার রেড জোন গুলি কে তিন ভাগে | ভাগ করা হবে- এ, বি এবং সি। কি পদ্ধতিতে প্রতিটি এলাকা একটি জোনের অন্তর্ভুক্ত হবে, সে ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

করােনা পরিস্থিতির সরেজমিনে তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত পুরসভার চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, পুর কর্তারা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, লকডাউন এর জন্য দীর্ঘদিন গােটা শহর স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় আবারও বেশ কিছু এলাকা কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে পড়েছে, তাতে সংকট আরাে তীব্র হয়ে দেখা গিয়েছে। তাই অবিলম্বে কনটেইনমেন্ট জোনের জন্য বিধিনিষেধ আলগা হল বলে দাবী করা হচ্ছে।

অন্যদিকে করোনা টেস্টের গতিপথ আরো দ্রুত করতে চাইলে কলকাতা পুরসভা। সেই কারণেই এবার শহরে পথে নামছে চৌদ্দটি মােবাইল ভ্যান বা অ্যাম্বুলেন্স। এখনাে পর্যন্ত ছটি মােবাইল ভ্যান বা অ্যাম্বুলেন্স শহরের বুকে সােয়াব টেস্ট চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি জানা গেছে, রাজ্যের অন্দরেই করােনা টেস্ট কীট প্রস্তুত হয়েছে। আরাে সহজ হয়ে উঠবে। তবে রাজ্যের অন্যান্য অংশের তুলনায় শহর কলকাতার পরিস্থিতি যে নিত্যদিন খারাপ হচ্ছে, তা নিয়ে এক প্রকার নিশ্চিত চিকিৎসক মহল। আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে চলেছে সেদিকেই কড়া নজর এখন ওয়াকিবহাল মহলের।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here