মোহনা বিশ্বাস, ওয়েবডেস্কঃ
৩০জুন পর্যন্ত কনটেনমেন্ট এলাকায় লকডাউন জারি থাকবে, শনিবার এমনটাই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তবে এই পঞ্চম দফার লকডাউন জারি থাকলেও মন্দির, মসজিদ সহ অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলি খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও শনিবার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, ৮ জুন থেকে সব ধর্মীয়স্থান খোলা যেতে পারে। তবে, সরকারি নির্দেশের ব্যাখ্যা না মেলা পর্যন্ত কলকাতার সব মসজিদ আপাতত বন্ধ রাখার পক্ষেই ইমামদের সংগঠন।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেন, ১ জুন সকাল ১০ টা থেকেই রাজ্যের সমস্ত মন্দির-মসজিদ-গির্জা খোলা হবে। তবে কোনও ধর্মস্থানেই একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষ সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও এদিন পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ আমপানে মৃত্যু বেড়ে ৯৮, ক্ষতিগ্রস্ত-সহ বাংলায় আর্থিক অনুদান ঘোষণা মমতার
ইমামদের সংগঠনের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে চেয়ারপার্সন মহম্মদ ইয়া জানিয়েছেন, ‘বিগত দু’মাস ধরে আমরা বাড়িতেই প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে আরও কয়েকদিন বাড়িতে থেকেই প্রার্থনা করব। সরকারি ঘোষণাকে অমান্য করছি না। সরকারের এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমাদের পক্ষ থেকে সকল ইমামদের কাছে আবেদন, এই করোনা পরিস্থিতিতে মসজিদে জমায়েত এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। আরও কয়েকটা দিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তাহলে ফের আমরা আপনাদের অবগত করব।’
আরও পড়ুনঃ অফিস খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত বদল মুখ্যমন্ত্রীর, জানালেন টুইটারে
ইমাম সংগঠনের এই আবেদনকে সমর্থন করেছে কলকাতার নাখোদা মসজিদ ও টিপু সুলতান মসজিদ কমিটি। লকডাউনের মধ্যেই মসজিদ খোলার বিষয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে ইমাম সংগঠনের চেয়ারপার্সন মহম্মদ ইয়া বলেন, ‘যতদিন লকডাউন চলছে, পাঁচ জনের বেশি মানুষকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি রমজান মাসেও সেই নিয়ম বজায় ছিল। কিন্তু, রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই বহু ফোন আসছে। সোমবার থেকে একসঙ্গে অনেকে চলে এলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে কীভাবে?’
আর ঠিক সেই কারণেই যতদিন পর্যন্ত মসজিদ খোলার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কোনো ব্যাখা না পাওয়া যাচ্ছে ততদিন মসজিদ বন্ধ রাখাই ভালো বলে মনে করেন ইমামদের সংগঠনটি। এতে কোনো অসুবিধা হবে না বলেও জানিয়েছেন মহম্মদ ইয়া।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584