ওয়েবডেস্ক, নিউজফ্রন্ট:
কলেজের ৬৮ জন ছাত্রীর অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা করা হল তারা ঋতুমতী কিনা তা যাচাই করতে। এরকমই মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী হয়ে থাকল গুজরাটের ভুজ জেলার শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউট।
প্রিন্সিপাল ও অন্যান্য কর্মীরা মিলে ৬৮ জন ছাত্রীকে লাইনে দাঁড় করিয়ে অন্তর্বাস খুলে তারা ঋতুমতী কিনা তা পরীক্ষা করেন।
গত সোমবার হোস্টেলের বাগানের বাইরে একটি ভেজা স্যানিটারি প্যাড পড়ে থাকতে দেখা যায়। সন্দেহ করা হয় বাথরুম অথবা হোস্টেলের অন্যকোনো ঘর থেকে কোন ছাত্রী সেটি ছুড়ে ফেলেছে। এই কাজ কে করেছে সেটা জানার চেষ্টা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে কাজে ব্যর্থ হয়ে ওই কলেজের হোস্টেলের রেক্টর অধ্যক্ষা রিতা রানিগার ছাত্রীদের কমন রুমে ডেকে আনেন। এরপর দেন সেই ভয়ানক আদেশ। ছাত্রীরা প্রথমে চমকে গিয়ে তা করতে অস্বীকার করলেও প্রথমে দুজন চাপের মুখে নতি স্বীকার করে। তারপর একে একে সমস্ত ছাত্রীদের বাধ্য করানো হয় অন্তর্বাস খুলতে।
কিন্তু কেন খোলানো হয়?? উঠতে পারে প্রশ্ন! আসলে সেখানে নিয়মই আছে ঋতুমতী ছাত্রীরা হোস্টেল রুমে থাকতে পারে না। তাদের পিরিয়ডের সময় থাকতে হয় বেসমেন্টে,রান্নাঘর বা পুজোর ঘরে ঢোকা বারণ, অন্যান্য ছাত্রীদের সঙ্গে মেলামেশাও নিষেধ, খাবার বাসনপত্রও রাখা হয় আলাদাভাবে। শুধু তাই নয় ক্লাসের সময় ঋতুমতী ছাত্রীদের বসানো হয় লাস্ট বেঞ্চে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584