সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
নিয়ম করে ভোট আসে নিয়ম করে তা চলেও যায় কিন্তু পূরণ হয় না প্রাথমিক চাহিদা। বর্ধমানের ত্রিলোকচন্দ্রপুর থেকে দেবশালা যাওয়ার রাস্তার অদূরেই রয়েছে কুনুর নদী। তার পাড়ে ধোয়াডাঙা, আমানিডাঙা ও বাবলাবুনি নামে তিনটি আদিবাসী গ্রাম। কিন্তু দেবশালা পঞ্চায়েত অন্তর্ভুক্ত আমানিডাঙা গ্রামের নির্দিষ্ট রাস্তা নেই। তাই তিন গ্রামের বাসিন্দাদের ধানজমির আল ধরে যেতে হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই গ্রামে ত্রিশটির মত পরিবারের বাস, রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। গ্রামের বেশ কিছু ছেলে মেয়ে কাঁকসা ব্লকের পিয়ারিগঞ্জের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ভাতকুণ্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে যায়। কিন্তু রাস্তা নেই, ফলে আলপথই ভরসা পড়ুয়া থেকে গ্রামের বাসিন্দাদের। বারবার বহু জায়গায় আবেদন করেও মেলেনি রাস্তা। পড়ুয়ারা বলেন, স্কুলে যাওয়ার রাস্তা বলতে মাঠের আল, নয়তো কুনুর নদীর পাড়। বর্ষায় এ সমস্যা আরো বাড়ে কারণ তখন নদীর পাড় দিয়ে যাওয়া যায় না আলপথই ভরসা।
বারবার বলেও কেন সুরাহা হচ্ছেনা এই সমস্যার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। নির্দিষ্ট রাস্তা না থাকায় এমনিতেই সমস্যা। রাত বিরেতে সে সমস্যার শেষ নেই। মরনাপন্ন রোগীকে পথের অভাবে অনেকক্ষেত্রেই হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়না। আলপথ পেরোতে গিয়েই জীবন শেষ। তাছাড়া বর্ষার সময় আলপথ ধরে আসার সময় সর্পদংশন নতুন কিছু নয়।
দেবশালা পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল বক্সি বলেন, কুনুর নদীর উপর একটি সাঁকো তৈরির চেষ্টা চলছে। সাঁকো তৈরি হলে এ সমস্যার সমাধান হবে। বাসিন্দাদের অবশ্য বক্তব্য, আশ্বাস ছাড়া কিছু মেলেনা কখনও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584