সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
২০১৪ সালে কাজ শুরু হয়ে অবশেষে আজ উদ্বোধন করা হল হাতানিয়া দোয়ানিয়া সেতু।এই সেতু উদ্বোধনের ফলে একদিকে যেমন সুন্দরবন পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটবে পাশাপাশি যোগাযোগ যোগাযোগ ব্যবস্থাও মসৃন হবে।
এই সেতু উদ্বোধনের ফলে প্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।সুন্দরবন অঞ্চলের সর্বাপেক্ষা দীর্ঘতম এই সেতু উদ্বোধন ঘিরে শুরু হয়েছে তরজা।
ভোটপূর্ব এই সেতু উদ্বোধনে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থতার কথা তুলছেন কেউ কেউ।স্থানীয় বাসিন্দা দীপক কুমার জানা জানান যে,অসম্পূর্ণ সেতু গতকাল রাত্রে ঘোষনা করে আজকে উদ্বোধন করা হল?বৃটিশ শাসনকালে বানিজ্য প্রসারের জন্য এই খাল কাটা হয়।
এই খাল কাটার মজুরি ছিল এক হাত কাটলে এক আনা,দু হাত কাটলে দু আনা।সেখান থেকেই হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী নামকরণ।আগে পর্যটকদের এই হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী পেরিয়ে ঘুরতে যেতে হত বকখালি।এই সেতু উদ্বোধনের পরে ১১৭ নং জাতীয় সড়কের সাথে মিলে গেল বকখালি।
নামখানার হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর উপর সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে এই সেতুর দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন কিলোমিটার প্রস্থ বারো মিটার।যার মধ্যে মূল সেতু চারশো তেরো মিটার।মোট খরচ হয়েছে ২২৮ কোটি টাকা।বিশ্বব্যাংকের টাকা।যারা মধ্যে রাজ্য দেবে চল্লিশ শতাংশ কেন্দ্র ষাট শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ সেতুর জন্য জমি দেওয়া নিয়ে প্রশাসনের সাথে জমিদাতাদের বৈঠক
যেহেতু কেন্দ্র রাজ্যর যৌথ উদ্যোগে নির্মিত সেতু সেখানে কোন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ছাড়ায় নামখানাতে রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস,সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার উপস্থিতিতে নবান্ন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে সেতুর উদ্বোধন ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।
বিতর্ক যায় থাক হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর সেতু উদ্বোধন ঘিরে মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584